ইসরায়েলের অভিবাসী বিষয়ক মন্ত্রী অ্যামিচাই চিকলির বিরুদ্ধে ফ্রান্সের সদ্যসমাপ্ত জাতীয় নির্বাচনে হস্তক্ষেপের অভিযোগ তুলেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুকে এ ইস্যুতে নালিশও জানিয়েছেন তিনি।

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদমাধ্যম এক্সিওসের বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে রুশ সংবাদমাধ্যম আরটি।

গত ৩০ জুন ফ্রান্সের পার্লামেন্ট নির্বাচনের ভোটগ্রহণ হয়েছে। এর চার দিন আগে ইসরয়েলের বেতার সংবাদমাধ্যম কান ব্রডকাস্টারকে একটি সাক্ষাৎকার দেন অ্যামিচাই চিকলি। সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘যদি লে পেন (ম্যাক্রোঁর প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ডানপন্থি নেত্রী ম্যারিন লে পেন) ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট হন, তাহলে তা ইসরায়েলের জন্য দারুন একটি সুখবর হবে। আমি এর পক্ষে অন্তত ১০টি যুক্তি হাজির করতে পারি। যদি তিনি প্রেসিডেন্ট হন, তাহলে ইসরায়েল রাষ্ট্রের জন্য তা সবদিক থেকেই মঙ্গলজনক।’

মঙ্গলবার এক প্রতিবেদেনে এক্সিওস জানিয়েছে, চিকলির ওই সাক্ষাৎকারের পরের দিনই নেতানিয়াহুকে ফোন করেন ম্যাক্রোঁ। ফোন করে তিনি বলেন, ‘ইসরায়েলের মন্ত্রীর এমন বক্তব্য পুরোপুরি অগ্রহণযোগ্য এবং এটি নির্বাচনে হস্তক্ষেপের শামিল।’

জবাবে নেতানিয়াহু কী বলেছেন, তা অবশ্য জানা যায়নি। এ ইস্যুতে আরও তথ্য জানতে ফ্রান্সের সরকার, নেতানিয়াহুর দপ্তর এবং ইসরায়েলে ফ্রান্সের দূতাবাসে যোগাযোগ করেছিল এক্সিওস, তবে মুখপাত্রদের কেউই মন্তব্য করতে রাজী হননি।

প্রসঙ্গত, ম্যারিন লে পেন ফ্রান্সের কট্টর ডানপন্থি নেত্রী হিসেবে পরিচিত। তার নেতৃত্বাধীন দল ন্যাশনাল র‌্যালি বরাবরই মুসলিমদের অভিবাসনের বিরুদ্ধে সোচ্চার।

বর্তমানে অবশ্য দলীয় প্রধানের পদে নেই লে পেন, তবে ন্যাশনাল র‌্যালির এখনকার শীর্ষ নেতা জর্ডান বারদেলা গত  তিনি লে পেনের বিশ্বস্ত ও আস্থাভাজন হিসেবে পরিচিত। গত মাসে এক সাক্ষাৎকারে বারদেলা বলেছিলেন, তার দল একেবারেই ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার পক্ষে নয়, কারণ ন্যাশনাল র‌্যালি মনে করে, ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি প্রদান আর সন্ত্রাসবাদকে স্বীকৃতি দেওয়া একই ব্যাপার।

সূত্র : এক্সিওস/ আরটি

এসএমডব্লিউ