বাড়িতে ঘর-গৃহাস্থলী পরিষ্কারের কাজ করছিলেন স্ত্রী। হঠাৎ তাকে কামড় দেয় একটি সাপ। স্ত্রীর চিৎকারে ছুটে আসেন স্বামী। কী করবেন বুঝতে না পেরে স্ত্রীকে কামড় দেওয়া সাপটিকে প্রথমে বালতিতে ভরে নেন তিনি।

আর এরপরই সেই সাপ এবং স্ত্রীকে নিয়ে হাসপাতালে ছোটেন তিনি। এই ঘটনায় হতবাক হয়ে গেছেন চিকিৎসকরা। অবশ্য ওই ব্যক্তির স্ত্রীর চিকিৎসা ইতোমধ্যেই শুরু করেছেন তারা।

চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের বিহারে। বুধবার (১০ জুলাই) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সাপে দংশনের পর চিকিৎসার জন্য স্ত্রীকে হাসপাতালে নেওয়ার সময় তার স্বামী সঙ্গে করে সাপটিকেও নিয়ে আসায় বিহারের একটি হাসপাতালের চিকিৎসকরা হতবাক হয়ে গেছেন। ভুক্তভোগী ওই স্ত্রীর নাম নিশা। আর তার স্বামীর নাম রাহুল।

দংশনের ঘটনার পর বিহারের ভাগলপুর জেলার জওহরলাল নেহরু মেডিক্যাল কলেজে ২৯ বছর বয়সী নিশাকে নিয়ে হাজির হয়ে তার স্বামী রাহুল স্বাস্থ্যকর্মীদের বলেন, ‘এই সাপটি আমার স্ত্রীকে কামড়েছে, দয়া করে তাকে বাঁচান।’

এনডিটিভি বলছে, সাবুরের ঝুরখুরিয়া গ্রামে ঘর পরিষ্কার করার সময় নিশাকে একটি সাপে কামড় দেয়। তিনি সাহায্যের জন্য চিৎকার করলে স্বামী রাহুল সেখানে ছুটে আসেন এবং সাপটিকে একটি দেবতার ছবির আড়ালে লুকিয়ে থাকতে দেখেন।

সঙ্গে সঙ্গেই লাঠি দিয়ে সাপটিকে তুলে বালতিতে রাখেন তিনি। ততক্ষণে তার স্ত্রী নিশা অজ্ঞান হয়ে গেছেন। রাহুল তখন স্ত্রীকে তার বাইকে বসিয়ে ভেতরে সাপ থাকা বালতিটি হ্যান্ডেলে ঝুলিয়ে রওনা হন হাসপাতালে।

হাসপাতালে পৌঁছানোর পর চিকিৎসকরা প্রথমে তাকে সাপটিকে দূরে রাখতে বলেন এবং তারপর নিশাকে চিকিৎসার জন্য জরুরি বিভাগে পাঠান। তারা কামড় দেওয়া সাপটির বিষের মূল্যায়ন করে তার চিকিৎসা শুরু করেন।

অবশ্য নিশার অবস্থা স্থিতিশীল বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। সাপটিকেও হাসপাতালে রাখা হয়েছে।

টিএম