জার্মানিতে আশ্রয়ের আবেদনের সংখ্যা বছরের প্রথমার্ধে অনেকটাই কমেছে। গত বছরের তুলনায় চলতি বছর দেশটিতে আশ্রয় আবেদন কমলেও ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) মধ্যে জার্মানিতে সবচেয়ে বেশিসংখ্যক মানুষ আশ্রয় আবেদন করেছেন।

চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে জার্মানিতে আশ্রয়ের আবেদনের সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে বলে জানিয়েছে ভেল্ট আম সনটাগ। তারা ইউরোপীয় ইউনিয়নের অ্যাসাইলাম এজেন্সির একটি পরিসংখ্যানের বিষয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। সনটাগ বলেছে, ২০২৩ সালের প্রথমার্ধের তুলনায় চলতি বছর ২০ শতাংশ কম আবেদন জমা পড়েছে।

গত এপ্রিলে জার্মানির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ন্যান্সি ফেজার সামঞ্জস্যপূর্ণ আশ্রয় নীতির সাফল্য চোখে পড়ছে বলে ঘোষণা দিয়েছিলেন। তিনি বলেন, ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে সীমান্ত নিয়ন্ত্রণের সময় শত শত মানবপাচারকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং ১৭ হাজারের বেশি অনুমতিবিহীন প্রবেশ ঠেকানো হয়েছে।

জার্মানিতে সবচেয়ে বেশি আশ্রয়ের আবেদন এসেছে সিরিয়া (২৯ শতাংশ), আফগানিস্তান (১৮ শতাংশ) এবং তুরস্ক (দশ শতাংশ) থেকে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সিরিয়া ও আফগানিস্তানের শরণার্থীরা মূলত জার্মানিতে আশ্রয়ের জন্য আবেদন করেন। সিরীয় শরণার্থীদের মধ্যে ৫০ শতাংশ জার্মানিতে আশ্রয়ের জন্য আবেদন করেছেন, যেখানে আফগানিস্তান থেকে আসা অভিবাসীদের মধ্যে ৪৮ শতাংশ জার্মানিতে আশ্রয়ের আবেদন করেছেন।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যে নরওয়ে এবং সুইজারল্যান্ডের মতো জার্মানিতে আগের বছরের একই সময়সীমার তুলনায় আশ্রয়-আবেদন অনেকটাই কমেছে। তবে আবেদনকারীর সংখ্যা প্রচুর। চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে জার্মানিতে চার লাখ ৯৯ হাজার ৪৭০টি আশ্রয় আবেদন জমা পড়েছে। এই সংখ্যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় অনেক কম।

দেশটির চরম ডানপন্থি অল্টারনেটিভ (এএফডি) নেতা টিনো ক্রোপাল্লা বলেন, সেপ্টেম্বরের নির্বাচনের পর দুটি রাজ্যে তারা ক্ষমতায় এলে অভ্যন্তরীণ সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ চালু হবে। রোববার জার্মানির পাবলিক ব্রডকাস্টার এআরডিকে এই তথ্য জানিয়েছেন তিনি।

এএফডি দল ক্ষমতায় এলে ১৬টি রাজ্যের মধ্যে অভিবাসী বণ্টনের প্রক্রিয়া বন্ধ করা হবে বলে জানান তিনি। তার কথায়, প্রথম ১০০ দিনের জন্য একটা অনুষ্ঠান করা হবে। যেখানে আমরা বেশ স্পষ্টভাবে সীমান্ত নিয়ন্ত্রণের কথা বলা হবে। ইনফোমাইগ্রেন্টস।

এসএস