অপরাধীরা অপরাধ করে পার পেতে অনেক কিছুই করে থাকে। এরমধ্যে অন্যতম হলো ছদ্মবেশ ধারণ করা। এসব অপরাধীকেই গোপনে সহায়তা করছে ফিলিপাইনের কয়েকটি হাসপাতাল। যেগুলো প্লাস্টিক সার্জারির মাধ্যমে অপরাধীদের চেহারা পুরোপুরি বদলে দিয়ে ছদ্মবেশ ধারণে সহায়তা করছে।

ফিলিপাইনের নিরাপত্তা বাহিনীর একটি সূত্র জানিয়েছে, ফিলিপাইনের এসব হাসপাতাল পলাতক আসামী এবং স্ক্যাম সেন্টারগুলোর কর্মীদের চেহারা বদলে ফেলার অপারেশন করার অফার দিয়ে আসছে।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসিকে পুলিশের এক কর্মকর্তা বলেছেন, গত মে মাসে রাজধানী ম্যানিলায় এ ধরনের একটি অবৈধ হাসপাতালে অভিযান চালানো হয়। এমন দুটি হাসপাতাল আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে বন্ধ করে দেওয়া হবে।

মে মাসে চালানো ওই অভিযানে চুল প্রতিস্থাপনের যন্ত্রাংশ, চামড়া ফর্সাকারী আইভি এবং দাঁত ইমপ্ল্যান্টস জব্দ করা হয়।

ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্সিয়াল অ্যান্টি-অর্গানাইজড ক্রাইম কমিশনের (পিএওসিসি) মুখপাত্র উইন্সটন জন ক্যাসিও বলেছেন, “এসব জিনিস দিয়ে আপনি সম্পূর্ণ নতুন একজন ব্যক্তি তৈরি করতে পারবেন।”

বিবিসি আরও জানিয়েছে, এসব হাসপাতালের যেসব গ্রাহক রয়েছে তার মধ্যে অনলাইন ক্যাসিনোতে জড়িত ব্যক্তিরাও রয়েছেন। এসব ব্যক্তি ফিলিপাইনে কোনো অনুমতি ছাড়া কাজ করেন।

এই অনলাইন ক্যাসিনোগুলো চীনের মূল ভূখণ্ডের খেলোয়াড়দের সেবা দিয়ে থাকে। চীনে জুয়া অবৈধ হওয়ায় এসবের কার্যক্রম ফিলিপাইন থেকে চালানো হয়।

তবে পুলিশ জানিয়েছে অনলাইন ক্যাসিনোর আড়ালে দীর্ঘদিন ধরে টেলিফোন স্ক্যাম এবং মানবপাচারের মতো ভয়াবহ কর্মকাণ্ড চলছে।

গত মাসে যে হাসপাতালটিতে অভিযান চালানো হয় সেখান থেকে ভিয়েতনাম ও চীনের কয়েকজন চিকিৎসক এবং নার্সকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের কারওই ফিলিপাইনে কাজ করার অনুমতি ছিল না।

এসব হাসপাতালে যদি কেউ প্লাস্টিক সার্জারি করতে যান তাহলে তার কাছ থেকে খুব বেশি কাগজপত্রও চাওয়া হয় না। অর্থাৎ অপরাধীরা চাইলেই সেখানে সহজে নিজেদের চেহারা বদলে ফেলতে পারছেন।

ফিলিপাইনের সাবেক চীনপন্থী প্রেসিডেন্ট রদ্রিগো দুর্তের সময় এসব অনলাইন ক্যাসিনোর বিস্তার ঘটে। নতুন প্রেসিডেন্ট ফার্নিনান্দ মার্কোস ক্ষমতায় আসার পর এসব ক্যাসিনোর লাগাম টেনে ধরার ঘোষণা দেন।

সূত্র: বিবিসি

এমটিআই