যুক্তরাজ্যে বসবাসকারী দুই সন্তান সুলাইমান ইসা ও কাসিমের সঙ্গে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম হোয়াটসঅ্যাপে সপ্তাহে একবার কথা বলার জন্য যে আবেদন করেছিলেন পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান, তা খারিজ করে দিয়েছেন রাওয়ালপিন্ডির একটি আদালত।

সোমবার রাওয়ালপিন্ডির সন্ত্রাসবিরোধী আদালতের বিচারক মালিক আইজাজ আসিফ এ সংক্রান্ত একটি আবেদনের শুনানি শেষে এই সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন বলে এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে পাকিস্তানের সংবাদামধ্যম এআরওয়াই নিউজ।

ইমরান খান ও প্রথম স্ত্রী জেমিামা গোল্ডস্মিথের দুই ছেলে— সুলাইমান ইসা ও কাসিম তাদের মায়ের সঙ্গে লন্ডনে থাকে। দুর্নীতি, সন্ত্রাসবাদে উসকানিসহ বিভিন্ন মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামি হিসেবে গত বছর সেপ্টেম্বর মাস থেকে কারা অন্তরীণ আছেন ইমরান খান। আদালত এর আগে জানিয়েছিলেন, মাসে দু’বার তিনি সন্তানদের সঙ্গে কথা বলতে পারবেন এবং সেই কথাবার্তা হতে হবে টেলিফোনে।

বর্তমানে পাঞ্জাবের আদিয়ালা কারাগারে আছেন ইমরান খান। কিছুদিন আগে তিনি কারা কর্তৃপক্ষ বরাবর একটি আবেদন করেন। সেই আবেদনে ইমরান বলেন যে তিনি হোয়াটসঅ্যাপ কল ব্যবহারের মাধ্যমে সপ্তাহে একবার তার সন্তানদের সঙ্গে কথা বলতে চান। কারা কর্তৃপক্ষ তার আবেদন নাকচ করে দিয়ে বলেন, আদালতের নির্দেশের বাইরে গিয়ে কোনো আবেদন মঞ্জুর করার এক্তিয়ার তাদের নেই।

কারা কর্তৃপক্ষ আপত্তি জানানোর পর রাওয়ালিপিন্ডির সন্ত্রাসবাদবিরোধী আদালতে আপিল করেন ইমরান; সোমবার সেই আপিলের সিদ্ধান্তই জানান আদালত।

গত ৯ মে পাকিস্তানে দেশজুড়ে সেনাবাহিনী বিভিন্ন স্থপানাকে লক্ষ্য করে হামলার ঘটনায় যতগুলো মামলা হয়েছে, উসকানিদাতা হিসেবে সেসব মামলার আসামির তালিকায় নাম রয়েছে ইমরান খানের। সোমবার রাওয়ালপিন্ডির সন্ত্রাসবিরোধী আদালতে এসব মামলার ওপর শুনানির কথা থাকলেও পরে আর তা হয়নি।

ইমরান খানের আইনজীবী সালমান সাফদার জানিয়েছেন, তার মক্কেল রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার। এআরওয়াই নিউজকে বলেন, “ইমরান খান রাজনৈতিক কারণে ফাঁসানো হয়েছে। ৯ মে হামলায় সংশ্লিষ্টতার যে অভিযোগ তার বিরুদ্ধে আনা হয়েছে, তা ভিত্তিহীন। কারণ সে সময় কারাগারে বন্দি ছিলেন তিনি। কারাগার থেকে কীভাবে এত বড় একটি ঘটনার উসকানি দেওয়া সম্ভব?”

সূত্র : এনডিটিভি ওয়ার্ল্ড, এআরওয়াই নিউজ

এসএমডব্লিউ