বিশ্বের বৃহত্তম দ্বীপরাষ্ট্র ইন্দোনেশিয়ার একটি অবৈধ স্বর্ণখনিতে ভূমিধসের ঘটনায় নিহত হয়েছেন অন্তত ১১ জন এবং এখনও নিখোঁজ রয়েছেন ১৯ জনেরও বেশি। দেশটির গোরোনতালো প্রদেশের সুলাওয়েসি দ্বীপের বোনে বোলাঙ্গো জেলার একটি প্রত্যন্ত গ্রামে ঘটেছে এ ঘটনা।

বোনে বোলাঙ্গো জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা সোমবার বার্তাসংস্থা এএফপিকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তারা বলেছেন, গত শনিবার দিনভর প্রবল বর্ষণে ওই স্বর্ণখনি ও তার আশপাশের এলাকগুলোতে ভূমিধস ঘটে। এ দুর্যোগ থেকে রেহাই পাননি খনিটির সংলগ্ন ওই গ্রামটির বাসিন্দারাও।

বোনে বোলাঙ্গো জেলার দুর্যোগ মোকাবিলা বাহিনীর প্রধান হেরিয়ান্তো এএফপিকে বলেন, ‘রোববার থেকে আমরা উদ্ধার তৎপরতা শুরু করেছি। এ পর্যন্ত আটজনের মৃতদেহ এবং ৫ জনকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। জীবিতদের সবাই কম-বেশি আহত। নিখোঁজদের সন্ধানে জোর তৎপরতা চলছে।’

হেরিয়াান্ত আরও জানান, ব্যাপক বর্ষণ এবং পাহাড়ি ঢলের কারণে ওই গ্রামে পৌঁছানোর রাস্তাঘাট ও সেতুগুলো ভেঙে পড়েছে। তাদেরকে পায়ে হেঁটে ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে হয়েছে এবং এ কারণেই দেরিতে শুরু হয়েছে উদ্ধার তৎপরতা। দুর্যোগ মোকাবিলা বিভাগের অন্তত ১৮০ জন মানুষ গ্রামটিতে উদ্ধার তৎপরতা চালাচ্ছেন।

সরকার ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর শিথিলতার সুযোগে ইন্দোনেশিয়া জুড়ে ছড়িয়ে পড়ছে অবৈধভাবে খনি খনন এবং খনিজ সম্পদ আহরণের প্রবণতা। কোনো প্রকার নিরাপত্তা ব্যবস্থা না থাকায় এসব খনিতে দুর্ঘটনাও ঘটে বেশি।

এসব অবৈধ খনি খুবই ঝুঁকিপূর্ণ ইন্দোনেশিয়ার জন্য। কারণ বর্ষাকলে অতি বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢল এই দেশটির অধিকাংশ প্রদেশে স্বাভাবিক একটি ঘটনা। অবৈধ খনি খননের কারণে ঘন ঘন ভূমি ধস ঘটছে বিভিন্ন এলাকায়।

গত মে মাসে দক্ষিণ সুলাওয়েসি প্রদেশের একটি গ্রামে ভূমি ধসে নিহত হয়েছিলেন অন্তত ১৫ জন। তার আগের মাসে ওই একই প্রদেশের ভিন্ন একটি গ্রামে ভূমি ধসে প্রাণ হারিয়েছিলেন ২০ জন।

সূত্র : এএফপি/বিএসএস

এসএমডব্লিউ