হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর ওরবান চীনের রাজধানী বেইজিংয়ে পৌঁছেছেন। ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ এবং রাশিয়ার রাজধানী মস্কো সফরের পর বেইজিংয়ে তার এই সফর বেশ গুরুত্বপূর্ণ।

প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর ওরবান নিজে বলেছেন, শান্তি আলোচনার জন্য়ই বেইজিং গেছেন তিনি।

তিনি জানিয়েছেন, ‘তৃতীয় পিস মিশন’ বা শান্তি আলোচনার জন্য় চীন সফর করছেন তিনি। এর আগে প্রথমে কিয়েভ এবং পরে মস্কো সফর করেন ওরবান। সোমবার সকালে বেইজিং বিমানবন্দরে নেমেই একটি পোস্ট করেছেন ওরবান। সেখানেই এই শান্তি আলোচনার কথা তিনি লিখেছেন।

বিমানবন্দরে তাকে অভ্য়র্থনা জানিয়েছেন চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ভাইস মিনিস্টার হুয়া চিউনিং। সোমবারই তার প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। সেখানে একাধিক বিষয় নিয়ে তাদের আলোচনা হতে পারে। তবে ইউক্রেন যুদ্ধ প্রাধান্য় পাবে বলেই মনে করা হচ্ছে।

মস্কো-কিয়েভে অভিযান চালানোর পর রাশিয়া এবং চীনের সম্পর্কের উন্নতি হয়েছে। দুই দেশের মধ্যে কৌশলগত জোট হয়েছে। বিশ্ব মঞ্চে ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে বেইজিং নিরপেক্ষ অবস্থান নিলেও রাশিয়াকে অর্থনৈতিকভাবে চাঙ্গা রেখেছে চীন।

ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে হাঙ্গেরি রাশিয়ার সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ। গত শুক্রবার ওরবান মস্কোয় বৈঠক করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে। সেখানে ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা হয়েছে তাদের। তারপরই সোমবার সকালে চীন পৌঁছেছেন তিনি।

চলতি জুলাই মাসে ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রেসিডেন্ট পদ পেয়েছে হাঙ্গেরি। প্রত্য়েক দেশই ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে এই পদ পায়। প্রেসিডেন্সি পেয়েই কিয়েভ এবং মস্কো সফর করেন ওরবান। যদিও তার মস্কো সফর এবং তারপর চীন সফর ভালো চোখে দেখছে না ইইউ।

বিষয়টি অবশ্য প্রকাশ্যে জানিয়েও দিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন।

টিএম