ভারতের উত্তর প্রদেশের প্রজ্ঞরাজের একটি স্কুলের প্রিন্সিপালকে জোর করে চেয়ার থেকে তুলে দিয়ে আরেকজনকে বসানোর ঘটনা ঘটেছে।

এমন অস্বাভাবিকভাবে স্কুলের প্রিন্সিপাল পরিবর্তনের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।

এতে দেখা যাচ্ছে, নিজ আসনে বসে আছেন প্রিন্সিপাল সলোমন। ওই সময় তাকে ঘিরে রেখেছেন আরও কয়েকজন। তারা তাকে আসন ছেড়ে দিতে বলছেন। কিন্তু ওই শিক্ষিকা তাদের কথা শুনছিলেন না। এক সময় স্কুলটির চেয়ারম্যান তার মোবাইল কেড়ে নেন। এতেও তিনি না উঠায় তার চেয়ারটি টেনে রুমের বাইরে নিয়ে যেতে থাকেন কয়েকজন। তখন তিনি উঠে দাঁড়ান। এরপর চেয়ারটি টেনে আবার ভেতরে নেওয়া হয় এবং নতুন প্রিন্সিপাল এতে বসেন। ওই সময় উপস্থিত সবাইকে হাততালিও দিতে দেখা যায়। তবে সোলোমন নামের ওই প্রিন্সিপাল জিজ্ঞেস করতে থাকেন ‘কী হচ্ছে কী হচ্ছে’।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভিকে স্কুলটির চেয়ারম্যান জানিয়েছেন, গত ফেব্রুয়ারিতে একটি সরকারি চাকরির পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস হয়। যে প্রিন্সিপালকে জোর করে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে তিনি এটির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। এ কারণে তাকে বরখাস্ত করা হয়। কিন্তু তা সত্ত্বেও স্কুলে এসে প্রিন্সিপালের রুমে বসে থাকেন তিনি। এ কারণে তাকে জোর করে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। আর যাকে নতুন প্রিন্সিপাল করা হয়েছে তিনি দায়িত্ব গ্রহণ করছেন।

তবে এ ঘটনায় থানায় একটি অভিযোগ করেছেন বরখাস্তকৃত প্রিন্সিপাল সলোমন। তিনি দাবি করেছেন, তাকে যৌন হেনস্তা করা হয়েছে। তবে স্কুলের চেয়ারম্যান বলেছেন, সেখানে এ ধরনের কোনো ঘটনা ঘটেনি।

সূত্র: এনডিটিভি

এমটিআই