ভারতের উত্তরপ্রদেশের হাথরাসে একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠানে পদপিষ্ট হয়ে ১২১ জন মারা গেছেন এবং আরও ৩১ জন আহত হয়েছেন। হাথরাসের সেই ঘটনায় মৃতদের পরিবার ও আহতদের সঙ্গে দেখা করেছেন দেশটির বিরোধীদলীয় নেতা রাহুল গান্ধী।

উত্তরপ্রদেশের কংগ্রেস সভাপতি অজয় রাই, কংগ্রেস নেতা অবিনাশ পাণ্ডে, মুখপাত্র সুপ্রিয়া শ্রীনাতেকে সঙ্গে নিয়ে শুক্রবার ভোরে দিল্লি থেকে রাহুল হাথরাস পৌঁছান। প্রথমেই তিনি যান পিলখানা গ্রামে।

সেখানে বেশ কয়েকজন মৃতের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন রাহুল। পরে একটি পরিবারের মানুষরা জানান, ‘রাহুল আমাদের কাছে জানতে চেয়েছিলেন, কী করে এই দুর্ঘটনা ঘটলো? তিনি দলের মাধ্যমে আমাদের সাহায্য করার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন।’

পরিবারের পক্ষ থেকে রাহুলকে বলা হয়, দুর্ঘটনার সময় প্রশাসনের কেউ ছিলেন না। তাদের সাহায্য করার মতো কেউ ছিলেন না। হাসপাতালে যাওয়ার পর চূড়ান্ত অব্যবস্থার মধ্যে পড়তে হয় তাদের।

হাথরসে ওই ধর্মীয় সভায় ছয়জন আয়োজককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আলিগড় রেঞ্জের আইজি শলভ মাথুর জানিয়েছেন, তারা সকলেই সুরজ পাল ওরফে ভোলে বাবার ঘনিষ্ঠ। তবে প্রধান আয়োজক দেবপ্রকাশ মধুকর পলাতক।

তার বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়েছে। তাকে ধরিয়ে দিতে পারলে এক লাখ রুপি দেওয়া হবে বলেও ঘোষণা করা হয়েছে।

তবে সুরজ পালকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। প্রয়েজনে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে পুলিশ জানিয়েছে। তার মৈনপুরীর আশ্রমে পুলিশ গিয়েছিল। কিন্তু সেখানে তিনি ছিলেন না। ঘটনার পর তাকে আর দেখা যায়নি।

শলভ মাথুর জানিয়েছেন, যাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তারা সেবাদার হিসাবে ওখানে কাজ করছিলেন এবং মানুষকে নিয়ন্ত্রণ করার দায়িত্বে ছিলেন।

তিনি জানিয়েছেন, বাবার গাড়ির পেছনে মানুষ দৌড়তে শুরু করেন, তারপরই হুড়োহুড়ি শুরু হয় এবং এতজন পদপিষ্ট হয়ে মারা যান।

টিএম