চলতি বছরের নভেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। চার বছর আগের মতো এবারের নির্বাচনেরও প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে থাকছেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

আসন্ন এই নির্বাচনকে সামনে রেখে সম্প্রতি বিতর্কে অংশ নিয়েছিলেন এই দুই প্রার্থী। তবে সেই বিতর্কে বিপর্যয়কর পারফরম্যান্সের জন্য ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছেন বাইডেন। তবে নিজের খারাপ পারফরম্যান্সের ব্যাখ্যা দিয়েছেন তিনি।

মূলত খারাপ পারফরম্যান্সের জন্য বিদেশ ভ্রমণকে দায়ী করেছেন তিনি। মার্কিন ডেমোক্র্যাটিক এই প্রেসিডেন্টের দাবি, একের পর এক সফরের কারণে তিনি ক্লান্ত ছিলেন। আর সেই ক্লান্তির রেশই পড়েছে তার বক্তৃতায়।

বুধবার (৩ জুলাই) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত মঙ্গলবার ট্রাম্পের বিপক্ষে বিতর্কে নিজের খারাপ পারফরম্যান্সের জন্য সাম্প্রতিক বিদেশ ভ্রমণকে দায়ী করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এমনকি ক্লান্তির কারণে মঞ্চে তিনি প্রায় ঘুমিয়ে পড়েছিলেন বলেও জানান তিনি।

ওয়াশিংটন ডিসির ভার্জিনিয়া শহরতলিতে তহবিল সংগ্রহে দাতাদের সাথে কথা বলার সময় বাইডেন বলেন, ‘আমি খুব স্মার্ট ছিলাম না। আমি কয়েক দফায় বিশ্বজুড়ে ভ্রমণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম... সেটিও আবার বিতর্কের কিছু সময় আগে। আমি আমার সহকর্মীদের কথা শুনিনি ... এবং তারপরে (ক্লান্তির কারণে) আমি মঞ্চে প্রায় ঘুমিয়ে পড়েছিলাম।’

মূলত গত সপ্তাহের সেই বিতর্কের পর থেকে বাইডেনকে নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়েছে। অনেকেই বলছেন, ৮০ বছরের বেশি বয়সী বাইডেনের এবার আর নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা উচিত নয়। কারণ, তিনি ঠিকমতো কথা বলতে পারছেন না। বিতর্কের সময় প্রতিপক্ষের কথার জবাবও দিতে পারছেন না।

এছাড়া ট্রাম্পও এনিয়ে বাইডেনকে আক্রমণ করে চলেছেন। নির্বাচনী প্রচারণার শুরু থেকেই বাইডেনের বয়স এবং কর্মক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন সাবেক এই রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট।

মঙ্গলবার মূলত এসব অভিযোগেরই জবাব দিয়েছেন মার্কিন এই প্রেসিডেন্ট। তিনি বলেছেন, গত কিছুদিনে শ’খানেক টাইম জোন পার করতে হয়েছে তাকে। আর এতে করে বিতর্কের মঞ্চে খুব মনযোগ দিতে পারেননি তিনি। তার ঘুম পেয়ে যাচ্ছিল এবং সে কারণেই খুব ভালো কথা বলতে পারেননি। কোনো কোনো কথায় খেই হারিয়ে ফেলেছেন।

এছাড়া নিজের খারাপ পারফরম্যান্সের জন্য দুঃখ প্রকাশ করে ক্ষমাও চেয়েছে বাইডেন। তিনি বলেছেন, তিনি কোনো অজুহাত দিচ্ছেন না, ব্যাখ্যা দিচ্ছেন।

এদিকে বয়স এবং বক্তৃতা নিয়ে বাইডেন যখন যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন প্রান্তে সমালোচনার শিকার হচ্ছেন, তখন পাশে দাঁড়িয়েছেন ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্য়ারিস। তিনি বলেছেন, বাইডেনের সঙ্গে কাজ করে তিনি আনন্দিত।

তার ভাষায়, ‘ট্রাম্পকে আমরা একবার হারিয়েছি, আবারও হারাবো।’

টিএম