উন্নত জীবনের আশা বা স্বদেশের প্রতি বিরক্তির কারণে অনেকে অন্য দেশে চলে যাওয়ার চেষ্টা চালান। হোক সেটা বৈধ বা অবৈধ। তবে ভারতের উত্তর প্রদেশের লখনৌর এক যুবক নিজ দেশ ছাড়ার চেষ্টায় যেন সবকিছুকে ছাড়িয়ে গেছেন। ২৪ বছর বয়সী এ যুবক ৬৭ বছরের বৃদ্ধ সেজে যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, গত ১৮ জুন দিল্লি বিমানবন্দরের টার্মিনাল-৩ এ যান গুরু সেওয়াক নামের এই যুবক। তখন সঙ্গে তার স্ত্রীও ছিলেন। তিনি ইমিগ্রেশন কাউন্টারে বিমানবন্দরের আনুষ্ঠানিকতা শেষ করতে যান। কাউন্টারে তিনি যে পাসপোর্টটি জমা দিয়েছিলেন এতে তার নাম লেখা ছিল রাসিন্দর সিং। জন্ম তারিখ উল্লেখ ছিল ২ ফেব্রুয়ারি ১৯৫৭। তিনি তার স্ত্রীকে নিয়ে কানাডা এয়ারে করে ওইদিন কানাডায় যেতেন। এরপর তার পরিকল্পনা ছিল অবৈধ পথে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করা।

কিন্তু তার কণ্ঠস্বর, দৈহিক কাঠামো এবং হাঁটাহাটি দেখে ইমিগ্রেশন কর্মকর্তাদের সন্দেহ হয়। তখন তারা তাকে তল্লাশির সিদ্ধান্ত নেন। এই তল্লাশিতে তার মোবাইল ফোনে তার আসল পাসপোর্টের একটি ছবি পাওয়া যায়। আর পাসপোর্টের ছবিটির মাধ্যমেই তার সত্যিকারের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়।

আরও পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে ইমিগ্রেশন কর্মকর্তারা বুঝতে পারেন, এই যুবক তার চুল এবং দাঁড়িতে সাদা রঙ মেখেছেন। এছাড়া নিজেকে বৃদ্ধ দেখাতে তিনি চশমাও পরেন।

পরবর্তীতে জিজ্ঞাসাবাদে তিনি জানান, জাগ্গি নামের এক দালালের মাধ্যমে তিনি যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন। এই দালালের সঙ্গে চুক্তি হয়েছিল তাকে এবং তার স্ত্রীকে তিনি প্রথমে কানাডা এবং পরবর্তীতে অবৈধ পথে যুক্তরাষ্ট্রে নিয়ে যাবেন। এজন্য দালালকে ৬০ লাখ রুপি দেবেন।

যুবকটি আরও জানিয়েছেন, নকল পাসপোর্ট ও ভিসাসহ সবকিছু এই দালালই করে দিয়েছে। তার সঙ্গে ৬০ লাখ রুপির যে চুক্তি হয়েছিল তার মধ্যে ইতিমধ্যে ৩০ লাখ রুপি তিনি দিয়েছেনও।

সূত্র: এনডিটিভি।

এমটিআই