২০২৩ সালের ডিসেম্বরে ক্ষমতা গ্রহণের পর এই প্রথম ব্রাজিল সফরে যাচ্ছেন আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট জাভিয়ের মিলেই। আগামী শনি-রোববার ব্রাজিল সফরে যাবেন তিনি। 

প্রসঙ্গত, ব্রাজিরের সাবেক প্রেসিডেন্ট জইর বলসোনারোর সঙ্গে সখ্যতা থাকলেও তার উত্তরসূরী ও বর্তমান প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাকিও লুলা দা সিলভার সঙ্গে সম্পর্ক তেমন ভালো নয় মিলেইয়ের। তাদের উভয়ের দ্বন্দ্ব মূলত মতাদর্শগত। মিলেই উগ্র ডানপন্থি জাতীয়তাবাদী মতাদর্শ প্রভাবিত, অন্যদিকে লুলা দা সিলভা বামপন্থি। আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট হওয়ার আগে লুলা দা সিলভাকে প্রায়ই প্রকাশ্যে ‘রাগী কমিউনিস্ট’ ‘দুর্নীতিগ্রস্ত’ প্রভৃতি আখ্যায় আখ্যায়িত করতেন তিনি।

গত সপ্তাহে লুলা দ্য সিলভা বলেছিলেন, প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর মিলেই একবারও তাকে টেলিফোন করেননি। ব্রাাজিলের প্রেসিডেন্ট আরও বলেছিলেন, অতীতে তার সম্পর্কে যেসব রুঢ় কথা বলেছেন মিলেই, সেসবের জন্য আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্টের ক্ষমা চাওয়া উচিত বলে মনে করেন তিনি।

মিলেই তারপর ফোন করেছিলেন কি না তা জানা যায়নি, তবে তার এই সফরের মূল লক্ষ্য যে ব্রাজিলের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়ন করা— তা ইতোমধ্যে স্পষ্ট। তার একটি কারণ, আর্জেন্টিনার সবচেয়ে বড় ব্যাবসায়িক অংশীদারের নাম ব্রাজিল।

আর্জেন্টিনার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডিয়ানা মন্ডিনো এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘এটি সত্যি যে রাজনৈতিক মতাদর্শগত দিক থেকে দুই নেতার পার্থক্য প্রায় আকাশ-পাতাল, তবে আমরা মরে করি এই পার্থক্য পারস্পরিক কূটনৈতিক সম্পর্কের পথে কোনো প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করবে না।’

সূত্র : রয়টার্স

এসএমডব্লিউ