পেরুতে ৭.২ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প, সুনামি সতর্কতা জারি
দক্ষিণ আমেরিকার দেশ পেরুতে শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ২। শুক্রবার (২৮ জুন) দেশটির মধ্যাঞ্চলীয় উপকূলীয় এলাকায় এই কম্পন হয়।
এদিকে ভূমিকম্পের জেরে পেরুতে সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়েছে। শুক্রবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা এএফপি।
বিজ্ঞাপন
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুক্রবার মধ্য পেরুর উপকূলে ৭.২ মাত্রার একটি ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে বলে মার্কিন ভূ-তাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) জানিয়েছে। এই ঘটনায় উপকূলরেখা বরাবর কিছু এলাকায় সুনামির ঢেউ আছড়ে পড়তে পারে।
ইউএসজিএস বলেছে, দেশটির আটিকুইপা জেলা থেকে ৮.৮ কিলোমিটার (৫.৫ মাইল) দূরে ভূমিকম্পটি আঘাত হেনেছে। সংস্থাটি বলেছে, ভূমিকম্পের শক্তিশালী কম্পন কেন্দ্রস্থলের কাছাকাছি এলাকায়ও অনুভূত হয়েছে।
প্রশান্ত মহাসাগরীয় সুনামি সতর্কীকরণ কেন্দ্র অবশ্য আগে জানিয়েছিল, কম্পনের জেরে সুনামির কোনও আশঙ্কা নেই। তবে পরে তারা সেই বুলেটিন পরিবর্তন করে জানায়, ‘উপকূলের কিছু এলাকায় বিপজ্জনক সুনামির ঢেউয়ের পূর্বাভাস রয়েছে। সুনামির ঢেউগুলো জোয়ারের স্তরের ওপরে আরও ১ থেকে ৩ মিটার পর্যন্ত পৌঁছতে পারে।’
দক্ষিণ আমেরিকার দেশ পেরুর জনসংখ্যা ৩ কোটি ৩০ লাখ এবং দেশটিতে প্রায়ই ভূমিকম্প হয়ে থাকে। এছাড়া দেশটি ভূতাত্ত্বিকভাবে ভূমিকম্প সক্রিয় অঞ্চল ‘প্যাসিফিক রিং অব ফায়ারে’ অবস্থিত। যা আমেরিকার পশ্চিম উপকূল বরাবর তীব্র ভূমিকম্পপ্রবণ এলাকা হিসেবে পরিচিত।
পেরুতে প্রতি বছর শতাধিক শনাক্তযোগ্য ভূমিকম্প হয়ে থাকে।
এর আগে পেরুতে ২০২২ সালের মে মাসের শেষের দিকে রিখটার স্কেলে ৭ দশমিক ২ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছিল। সেই ভূমিকম্পের আঘাতের কেন্দ্রে ছিল দেশটির পশ্চিম-উত্তরপশ্চিমাঞ্চলীয় আজাঙ্গারো শহর।
আরও পড়ুন
ভূপৃষ্ঠ থেকে ২১৭ দশমিক ৮ কিলোমিটার গভীরে উৎপত্তি হওয়া এই ভূমিকম্পে প্রতিবেশি বলিভিয়ার রাজধানী লা পাজের পাশাপাশি পেরুর আরেকুইপা, টাকনা এবং কুসকো শহরের কিছু ভবনও কেঁপে ওঠে।
এরও আগে ২০২১ সালের নভেম্বরের শেষের দিকে পেরুতে ৭ দশমিক ৫ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানে। সেসময় দেশটিতে বহু ঘর-বাড়ি বিধ্বস্ত হয়ে যায়। এছাড়া ঔপনিবেশিক আমলের ৪৫ ফুট উচু একটি চার্চ টাওয়ারও সেসময় ভেঙে পড়ে।
উল্লেখ্য, ২০০৭ সালের ১৫ আগস্ট পেরুর মধ্য উপকূলে ৭ দশমিক ৯ মাত্রার ভূমিকম্প হয়েছিল। শক্তিশালী সেই ভূমিকম্পে পাঁচ শতাধিক মানুষ নিহত হয়েছিলেন।
টিএম