তাইওয়ানের সরকার নাগরিকদের জন্য চীন ভ্রমণে সতর্কতা জারি করেছে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া দেশটি ভ্রমণ না করার জন্য নাগরিকদের পরামর্শ দিয়েছে। তাইওয়ানের স্বাধীনতাকামী কট্টর সমর্থকদের মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হবে বলে গত সপ্তাহে চীন হুমকি দেওয়ার পর বৃহস্পতিবার এই সতর্কতা জারি করেছে।

তাইওয়ানের মূল ভূখণ্ডের কল্যাণবিষয়ক কাউন্সিলের মুখপাত্র লিয়াং ওয়েন-চিয়েহ সাংবাদিকদের বলেছেন, জারি করা ভ্রমণ সতর্কতা হংকং এবং ম্যাকাওয়ের চীন-পরিচালিত শহরগুলোর জন্যও প্রযোজ্য।

গণতান্ত্রিকভাবে শাসিত তাইওয়ানকে নিজস্ব অঞ্চল হিসাবে মনে করে চীন। এই ভূখণ্ডের প্রেসিডেন্ট লাই চিং-তেকে ‌‌‘‘বিচ্ছিন্নতাবাদী’’ হিসাবে দেখে বেইজিং। তাইওয়ানের এই প্রেসিডেন্ট দায়িত্ব নেওয়ার পর তাকে অপছন্দ করার বিষয়টি নিয়ে কোনও গোপনীয়তা দেখায়নি চীন। এমনকি গত মাসে তিনি দায়িত্ব নেওয়ার পর তাইওয়ানের আশপাশে দু’দিনের যুদ্ধের মহড়া চালিয়েছে চীনা সামরিক বাহিনী।

এর মাঝেই গত সপ্তাহে চীন চরম ক্ষেত্রে তাইওয়ানের স্বাধীনতাকামী বিচ্ছিন্নতাবাদীদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার হুমকি দিয়ে একটি বিবৃতি প্রকাশ করে। প্রেসিডেন্ট লাই ও তার সরকারের পাশাপাশি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র চীনের এই হুমকির নিন্দা জানানোয় তা নিয়ে উত্তেজনা আরও বৃদ্ধি পেয়েছে।

বৃহস্পতিবার তাইপেতে নিয়মিত এক সংবাদ সম্মেলনে লিয়াং চীন ভ্রমণের বিষয়ে ওই সতর্কতা জারির ঘোষণা দেন। এতে তিনি বলেন, এসব নির্দেশনা চীন সফররত তাইওয়ানিজদের সুরক্ষায় গুরুতর হুমকির প্রতিনিধিত্ব করে।

তিনি বলেন, যদি যাওয়ার প্রয়োজন না হয়, তাহলে যাবেন না। এটা ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা নয়। তবে এই নির্দেশনার মাধ্যমে তাইওয়ানের জনগণকে সুরক্ষা এবং পাল্টা ব্যবস্থার পরিবর্তে তাদের ঝুঁকির কথা মনে করিয়ে দেওয়া হয়েছে।

চীনের তাইওয়ান বিষয়ক কার্যালয় তাৎক্ষণিকভাবে মন্তব্যের অনুরোধে সাড়া দেয়নি বলে জানিয়েছে রয়টার্স।

এসএস