লাতিন আমেরিকার দেশ বলিভিয়ায় সামরিক অভ্যুত্থানের চেষ্টা হয়েছে। এ লক্ষ্যে দেশটির সামরিক বাহিনীর একটি অংশ বলিভিয়ার প্রেসিডেন্ট প্রাসাদে হামলা চালিয়েছে। তবে সামরিক অভ্যুত্থানের চেষ্টা শেষপর্যন্ত ব্যর্থ হয়ে যায়।

এছাড়া অভ্যুত্থানের চেষ্টায় জড়িত দেশটির সেনাবাহিনীর একজন জেনারেলকে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অভ্যুত্থানের চেষ্টা ব্যর্থ হওয়ার পর বলিভিয়ার সশস্ত্র বাহিনী বুধবার সন্ধ্যায় দেশটির প্রেসিডেন্টের প্রাসাদ থেকে ফিরে এসেছে এবং পরে সেনাবাহিনীর একজন জেনারেলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

এদিকে সরকারের বিরুদ্ধে ‘অভ্যুত্থান’ প্রচেষ্টার নিন্দা করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট লুইস আর্স। একইসঙ্গে সংকটময় এই সময়ে আন্তর্জাতিক সমর্থনের আহ্বানও জানিয়েছেন তিনি।

এর আগে জেনারেল জুয়ান জোসে জুনিগার নেতৃত্বে সামরিক বাহিনীর বিভিন্ন ইউনিট  লা পাজ শহরের সেন্ট্রাল প্লাজা মুরিলো স্কোয়ারে জড়ো হয়। এখানেই প্রেসিডেন্ট প্রাসাদ এবং দেশটির কংগ্রেসের ভবন অবস্থিত।

রয়টার্সের একজন প্রত্যক্ষদর্শী দেখেছেন, সামরিক বাহিনীর একটি সাঁজোয়া যান প্রেসিডেন্ট প্রাসাদের দরজায় ঢুকে যাচ্ছে এবং সৈন্যরা সেখানে ভিড় করছে।

প্রেসিডেন্ট আর্স তার প্রাসাদের ভেতর থেকে সেসময় বলেন, আজ দেশটি একটি অভ্যুত্থানের চেষ্টার মুখোমুখি হচ্ছে। আজ দেশটি আবারও এমন স্বার্থের মুখোমুখি হয়েছে যেটাতে বলিভিয়ার গণতন্ত্রকে ছোট করা হয়।

এসময় প্রাসাদের বাইরে সশস্ত্র সৈন্যরা অবস্থান করছিল। তিনি বলেন, ‘বলিভিয়ার জনগণকে আজ আহ্বান জানানো হয়েছে। গণতন্ত্রের পক্ষে অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে বলিভিয়ার জনগণকে সংগঠিত করা প্রয়োজন আমাদের।’

এর কয়েক ঘণ্টা পরে রয়টার্সের একজন প্রত্যক্ষদর্শী সৈন্যদের ওই স্কোয়ার থেকে সরে যেতে দেখে এবং পুলিশ ওই প্লাজার নিয়ন্ত্রণ নেয়। বলিভিয়ার কর্তৃপক্ষ পরে জেনারেল জুনিগাকে গ্রেপ্তার করে এবং তাকে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়।

এরপর প্রেসিডেন্ট প্রাসাদের ভেতরে জোসে উইলসন সানচেজকে সামরিক কমান্ডার হিসেবে শপথ পড়ান প্রেসিডেন্ট আর্স। পরে নতুন এই কমান্ডার শান্তি ও শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার আহ্বান জানান।

সানচেজ বলেন, ‘আমি আদেশ দিচ্ছি, রাস্তায় জড়ো হওয়া সমস্ত সেনা তাদের ইউনিটে ফিরে যাবে। আমরা অনুরোধ করছি, আমাদের সৈন্যদের রক্ত ​​যেন না ঝরে।’

এদিকে যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, তারা পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। একইসঙ্গে শান্তি ও সংযমের আহ্বান জানিয়েছেও দেশটি।

টিএম