উত্তর কোরিয়া হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে ক্ষেপণাস্ত্রটি মাঝ-আকাশে পৌঁছানোর পরপরই বিস্ফোরিত হয়েছে। বুধবার উত্তর কোরিয়ার পূর্ব উপকূলীয় এলাকায় ব্যর্থ এই ক্ষেপণাস্ত্র চালানো হয় বলে জানিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া। 

দক্ষিণ কোরিয়ার জয়েন্ট চিফস অব স্টাফ বলেছে, রাজধানী পিয়ংইয়ংয়ের কাছ থেকে ক্ষেপণাস্ত্রটি উৎক্ষেপণ করা হয়েছে। আর জাপানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, উত্তর কোরিয়ার ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্রটি প্রায় ১০০ কিলোমিটার (৬২ মাইল) উচ্চতায় ২০০ কিলোমিটারেরও বেশি পথ পাড়ি দিয়েছিল।

পিয়ংইয়ংয়ের এই ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের পরপরই দক্ষিণ কোরিয়া, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং জাপানের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা টেলিফোনে কথা বলেছেন। এ সময় তারা উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণকে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের একাধিক প্রস্তাবের লঙ্ঘন এবং ওই অঞ্চল ও এর বাইরের শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য ‘‘গুরুতর হুমকি’’ বলে উল্লেখ করে এর নিন্দা জানিয়েছেন।

দক্ষিণ কোরিয়া ও মার্কিন বিমান বাহিনী বলেছে, তারা বার্ষিক বাডি স্কোয়াড্রন প্রশিক্ষণের অংশ হিসেবে এফ-২২ ও এফ-৩৫ স্টিলথ যুদ্ধবিমান ব্যবহার করে যৌথ মহড়া পরিচালনা করেছে। চলতি মাসের শুরুর দিকে আন্তঃকোরীয় সামরিক চুক্তি বাতিলের পর প্রথমবারের মতো উত্তর কোরিয়ার সামুদ্রিক সীমান্তের কাছে পৃথক মহড়া চালায় দক্ষিণ কোরিয়ার মেরিন কর্পস। জুনের শুরুতে এই মহড়ার ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল।

মার্কিন ইন্দো-প্যাসিফিক কমান্ডও উত্তর কোরিয়ার হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের নিন্দা জানিয়েছে। একই সঙ্গে পিয়ংইয়ংকে বেআইনি ও অস্থিতিশীল কাজ করা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছে তারা। এর আগে, সর্বশেষ গত ৩০ মে ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করেছিল উত্তর কোরিয়া।

সূত্র: রয়টার্স।

এসএস