সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে একটি ভিডিও প্রকাশ করেছেন ডাচ পাইলট নারিন মেলকুমজান। এতে দেখা যাচ্ছে, তার চালানো একটি প্রশিক্ষণ বিমানের ওপর থাকা স্বচ্ছ ঢাকনা হঠাৎ করে মাঝ আকাশে খুলে গেছে। ওই সময় তার জীবন ঝুঁকিতে পড়ে যায়। যদিও কোনোভাবে নিজেকে সামলে নিয়ে বিমানটি অবতরণ করাতে সমর্থ হন তিনি।

ভিডিওটি দুই বছর আগের। তবে অন্য পাইলটদের সতর্কত করতে সম্প্রতি এটি প্রকাশ করেছেন তিনি।

ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে, এক্সট্রা ৩৩০এলএক্স বিমান উড্ডয়নের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন এই নারী পাইলট। ওই সময় বিমানের ঢাকনাটিও লাগান তিনি। এরপর বিমানটি নিয়ে কিছুক্ষণ উড়ার পর হঠাৎ করে ঢাকনাটি খুলে যায়।

ওই সময় বাতাসের ধাক্কায় তার চোখ উল্টে যাওয়ার উপক্রম হয়। এছাড়া তার মুখমণ্ডল যেন বাতাসে উড়ে যাচ্ছিল।

এমন পরিস্থিতিতে পড়ে দ্রুত বিমানটি অবতরণের চেষ্টা চালান তিনি। এতে সফল হন। যখন বিমানটি রানওয়েতে অবতরণ করে তখন তিনি পুরোপুরি বিধ্বস্ত হয়ে পড়েন।

তিনি স্বীকার করেছেন ঢাকনাটির পিন ভালোভাবে আটকাননি এবং নিজের ভুলেই এত বড় বিপদের মুখে পড়েছিলেন।

ভিডিওটির নিচে দীর্ঘ এক পোস্টে এই পাইলট লিখেছেন, “আমি করোনা থেকে সেরে উঠার পরপরই প্রশিক্ষণ ক্যাম্পে গিয়ে ভুল করেছিলাম। শক্তি অর্জনের জন্য আমি শরীরকে পর্যাপ্ত সময় দেইনি। সঙ্গে চোখের নিরাপত্তার সরঞ্জাম ছাড়া বিমান উড্ডয়ন করে আমি আরেকটি ভুল করেছিলাম।”

এছাড়া ওই সময় বিমানটিকে সচল রাখা, চোখের দৃষ্টি ঠিক রাখা এবং নিশ্বাস নেওয়া সবচেয়ে কঠিন ছিল বলেও জানিয়েছেন তিনি।

বাতাসের ধাক্কায় তার চোখ এতটাই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল যে চোখের দৃষ্টি স্বাভাবিক হতে তার ২৮ ঘণ্টা সময় লেগেছিল।

এমটিআই