গাজা যুদ্ধ ইস্যুতে জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের বিরুদ্ধে মিথ্যে ও ভুয়া তথ্য ছড়ানোর অভিযোগ উঠেছে। গুতেরেস নিজে এই অভিযোগ তুলেছেন।

সোমবার নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সদর দপ্তরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ইসরায়েলের নাম উল্লেখ না করে মহাসচিব বলেন, “একটি মহল সম্প্রতি গুজব ছড়াচ্ছে যে (গাজায় হামাস-ইসরায়েলের চলমান যুদ্ধে) আমি কখনও হামাসের প্রতি ক্ষোভ বা নিন্দা জানাইনি। এমনকি এমন কথাও আমার কানে এসেছে যে আমি হামাসের সমর্থক।”

“কিন্তু বাস্তব সত্য হলো, গাজায় যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত আমি কমপক্ষে ১০২ বার প্রকাশ্যে এবং আনুষ্ঠানিকভাবে হামাসের নিন্দা জানিয়েছি। ৫১ বার জাতিসংঘের আনুষ্ঠানিক বক্তব্যে এবং বাকি ৫১ বার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম প্ল্যাটফরমে।’

প্রসঙ্গত, ইসরায়েলের জাতিসংঘ দূত গিলাদ এরদান সম্প্রতি এক সংবাদ সম্মেলনে হামাসের প্রতি জাতিসংঘের পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তুলেছিলেন।

এরদান বলেছিলেন, ‘তার (গুতেরেস) একমাত্র লক্ষ্য হলো হামাসকে টিকে থাকতে সাহায্য করা। আমরা এটি নিন্দনীয় মনে করি যে সেক্রেটারি-জেনারেল জাতিসংঘের মান মেনে চলতে অস্বীকার করেন এবং সাম্প্রতিক বিভিন্ন ঘটনার বিকৃত ব্যাখ্যা দেন। আন্তোনিও গুতেরেস সন্ত্রাসীদের একজন পৃষ্ঠপোষক এবং তার আজই পদত্যাগ করা উচিত।’

গত ৭ অক্টোবর গাজায় হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধ বাঁধার পর থেকে এ পর্যন্ত বেশ কয়েকবার সেখানে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব পাস হয়েছে জাতিসংঘে। প্রতিটি প্রস্তাবের বিরোধিতা করেছে ইসরায়েল।

এই যুদ্ধ শুরুর পর  জাতিসংঘের স্থায়ী সদস্যপদের প্রচেষ্টা শুরু করেছিল ফিলিস্তিন। সেই প্রচেষ্টাও ভেস্তে গেছে মূলত ইসরায়েলের কারণে।

এই যুদ্ধ শুরুর পর থেকে জাতিসংঘের সঙ্গে টানাপোড়েন শুরু হয়েছে ইসরায়েলের। ইসরায়েলের অভিযোগ, ফিলিস্তিনে জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থায় কর্মরত কর্মীরা এই যুদ্ধের সঙ্গে সরাসরি সংশ্লিষ্ট; কিন্তু জাতিসংঘ তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে না। অন্যদিকে জাতিসংঘের বক্তব্য, ইসরায়েল তার অভিযোগের পক্ষে প্রয়োজনীয় প্রমাণ দেখাতে না পেরে এসব গুজব ছড়াচ্ছে।

সূত্র : রয়টার্স

এসএমডব্লিউ