সামরিক সাবমেরিন ও ক্ষেপণাস্ত্র বহনে সক্ষম নৌযান ক্রয় সংক্রান্ত দুর্নীতিতে ফেঁসে যেতে পারেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। সোমবার দেশটির দুর্নীতি দমন সংস্থা নেতানিয়াহুর উদ্দেশে এই সতর্কবার্তা ইস্যু করেছে।  

এসব সাবমেরিন এবং নৌযান কেনা হয়েছিল ২০০৯ থেকে ২০১৬ সালের মধ্যে কেনা হয়েছিল। সে সময় ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন নেতানিয়াহু। লিখিত এক বিবৃতিতে সোমবার ইসরায়েলের দুর্নীতি দমন সংস্থা জানিয়েছে, এ যাবৎকালের অনুসন্ধান, তদন্ত এ ক্রয় সংক্রান্ত বিভিন্ন নথি পর্যালোচনা করে জানা গেছে যে সাবমেরিন ও নৌযানের ক্রয় নিয়ম অনুযায়ী ঘটেনি এবং ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নিজে এই ক্রয়ের জন্য সবুজ সংকেত দিয়েছিলেন। এমনকি এই ক্রয়ের ক্ষেত্রে নিজের পদ ও ক্ষমতার ব্যবহারও করেছেন তিনি।   

‘এর মাধ্যমে তিনি (নেতানিয়াহু) রাষ্ট্রের নিরাপত্তাকে ঝুঁকির মুখে ফেলেছেন এবং ইসরায়েলের কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক স্বার্থকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছেন,’ বলা হয়েছে বিবৃতিতে।

দুর্নীতি দমন সংস্থার সতর্কবার্তার প্রতিক্রিয়াও অবশ্য জানিয়েছেন নেতানিয়াহু। সোমবার ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে এ প্রসঙ্গে বলা হয়েছে, ‘এসব সাবমেরিন এবং নৌযান ইরান থেকে সুরক্ষা নিশ্চিতের জন্য কেনা হয়েছিল, যারা আমাদের ধ্বংস করে দিতে চাইছে।’

‘এবং ইতিহাস প্রমাণ করবে যে ইসরায়েলের নিরাপত্তার স্বার্থে এ পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু এ পর্যন্ত যত সিদ্ধান্ত নিয়েছেন— সেসবের মতো এসব সাবমেরিন ও যুদ্ধ নৌযান কেনার সিদ্ধান্তও সঠিক ছিল।’

ইসরায়েলের বর্তমান যে দুর্নীতি দমন সংস্থা, সেটির প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ২০২২ সালে। সে সময় ক্ষমতায় ছিলেন না বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। সংস্থাটি জানিয়েছে, শিগগিরই এ ঘটনায় জনসম্মুখ্যে প্রকাশের উপযোগী যাবতীয় তথ্য প্রকাশ করা হবে।

নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ অবশ্য নতুন নয়। ইসরায়েলের আদালতে বর্তমানে তার বিরুদ্ধে তিনটি মামলা বিচারাধীন রয়েছে।

সূত্র : রয়টার্স

এসএমডব্লিউ