চীনের মধ্যাঞ্চলীয় একটি পাহাড়ি এলাকায় ভূমিধসে অন্তত আটজনের প্রাণহানি ঘটেছে। রোববার দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদমাধ্যমের খবরে প্রাণহানির এই তথ্য জানানো হয়েছে। 

এতে বলা হয়েছে, দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বৈরী আবহাওয়ার বিষয়ে উচ্চ-সতর্কতা জারি করা হয়েছে। এর মাঝেই মধ্যাঞ্চলের পার্বত্য এলাকায় ভারী বর্ষণের কারণে সৃষ্ট ভূমিধসে অন্তত ৮ জন নিহত হয়েছেন।

চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত সম্প্রচারমাধ্যম সিসিটিভির প্রতিবেদন অনুযায়ী, দেশটির মধ্যাঞ্চলীয় হুনান প্রদেশের একটি পাহাড়ি গ্রামে ভূমিধসে প্রাণহানির ওই ঘটনা ঘটেছে।

দেশটির এই সংবাদমাধ্যম বলছে, রোববারের ভূমিধসের ঘটনায় অন্তত চারটি বাড়ি মাটির নিচে চাপা পড়েছে। এতে নিখোঁজ আটজনের জীবিত উদ্ধারের আরও কোনও সম্ভাবনা নেই।

চীনের হুবেই ও আনহুইসহ কয়েকটি প্রদেশে ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস জারি করেছে দেশটির আবহাওয়াবিষয়ক কর্তৃপক্ষ। এসব রাজ্যে ভারী বর্ষণের পূর্বাভাস দিয়ে সর্বোচ্চ চার নম্বর সতর্ক সংকেত জারি করা হয়েছে।

গত ২১ জুন চীনের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, দেশটির দক্ষিণাঞ্চলীয় ও ঘনবসতিপূর্ণ গুয়াংডং প্রদেশে ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে সৃষ্ট বন্যা ও ভূমিধসের ঘটনা ঘটেছে। এতে চীনের উৎপাদন হাব হিসেবে পরিচিত গুয়াংডংয়ে কমপক্ষে ৩৮ জন নিহত হয়েছেন।

গত কয়েক মাস ধরে চরম বৈরী আবহাওয়া ও অস্বাভাবিক উচ্চ তাপমাত্রার মুখোমুখি হয়েছে চীন। বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধির জন্য দায়ী গ্রিনহাউস গ্যাসের বিশ্বের বৃহত্তম নির্গমনকারী দেশ চীন।

কলকারখানা, যানবাহন থেকে নিঃসৃত ধোঁয়া ও মানবসৃষ্ট বিভিন্ন কারণে বাতাসে প্রতিমুহূর্তে বাড়ছে গ্রিনহাউস গ্যাস ও অতিক্ষুদ্র বস্তুকণা পিএম ২.৫’র উপস্থিতি। বিশ্বে গ্রিনহাউস গ্যাসের কারণে পরিবর্তিত জলবায়ু পরিস্থিতি বৈরী আবহাওয়ার ঘটনাগুলোকে আরও ঘন ঘন ও তীব্র করে তুলছে।

সূত্র: এএফপি, সিসিটিভি।

এসএস