বিরোধপূর্ণ দক্ষিণ চীন সাগরে ফিলিপাইনের নৌবাহিনীর সদস্যদের ওপর ছুরি, চাপাতি, হাতুড়ি ও কুড়াল দিয়ে হামলা চালিয়েছে চীনের কোস্টগার্ডের সেনারা।

চীনের সৈন্যরা আটটি মোটরবোটে করে এসে ফিলিপাইনের দুটি বোটে হামলা চালায়। এই সময় কুড়াল ও চাপাতি দিয়ে ফিলিপিনোদের বোট ক্ষতিগ্রস্ত করে তারা।

ফিলিপাইনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তাদের সেনারা দুটি বোটে করে ‘দ্বিতীয় থমাস প্রাচীর’-এ যাচ্ছিলেন। ওই প্রাচীরটিতে যেসব নৌ সেনা আছেন তাদের জন্য খাবার, অস্ত্র ও অন্যান্য জিনিসপত্র নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। তখনই বোটে থাকা নৌ সেনারা হামলার শিকার হন।

প্রথমে দুই পক্ষের মধ্যে তর্কাতর্কি ও নৌকা দিয়ে ধাক্কাধাক্কি হয়। এরপর চীনের কোস্টগার্ডের সেনারা ফিলিপিনোদের বোটে উঠে পড়েন। ওই সময় তারা বাক্সে থাকা এম৪ রাইফেল, নৌচালনার সরঞ্জাম ও অন্যান্য জিনিসপত্র ছিনিয়ে নেন।

দুজন নিরাপত্তা কর্মকর্তা বার্তাসংস্থা এপিকে জানিয়েছেন, চীনের সেনারা ফিলিপাইনের নৌবাহিনীর সদস্যদের ওপরও হামলা চালিয়েছেন। এতে অনেকে আহত হয়েছেন। হামলায় একজনের বুড়ো আঙুল কাটা পড়েছেও বলে জানিয়েছেন তারা।

ফিলিপাইনের সেনাবাহিনীর প্রকাশিত একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, চীনের সেনারা ছুরি দিয়ে ফিলিপিনোদের ভয় দেখাচ্ছেন। ওই সময় তাদের দুটি বোট ঘিরে রাখা হয়। চিল্লাচিল্লির এক পর্যায়ে চীনের এক সেনা লাঠি দিয়ে ফিলিপাইনের বোটে আঘাত করেন। ওই সময় লাঠি দিয়ে একটি ব্যাগও নিয়ে নেয় তারা।

ফিলিপাইনের সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান জেনারেল রোমিও ব্রাওনার জুনিয়র চীনের সেনাদের এই আচরণকে ‘দস্যুতা’ হিসেবে অভিহিত করেছেন। চীনারা যেসব অস্ত্র ও অন্যান্য জিনিসপত্র ছিনিয়ে নিয়েছে সেগুলো ফেরত দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তিনি।

চীনের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে যেখানে এই ঘটনা ঘটেছে সেখানে প্রবেশ না করতে ফিলিপাইনের নৌবাহিনীকে সতর্ক করা হয়েছিল। কিন্তু সতর্কতা উপেক্ষা করে তারা সেখানে আসায় এই মারামারির ঘটনা ঘটেছে।

সূত্র: এপি

এমটিআই