পশ্চিম আফ্রিকার দেশ নাইজেরিয়ায় কলেরায় আক্রান্ত হয়ে অন্তত ৩০ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। দেশটির সরকারি স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা কলেরা প্রাদুর্ভাবের বিষয়ে সতর্কতা জারি করেছেন। বুধবার ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপির এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, নাইজেরিয়ায় চলতি বছরের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত কলেরায় কমপক্ষে ৩০ জন মারা গেছেন। মৃতদের অনেকেই দেশটির বাণিজ্যিক রাজধানী লাগোসের বাসিন্দা।

কলেরা হলো অন্ত্রের তীব্র সংক্রমণ; যা দূষিত খাবার এবং পানির মাধ্যমে ছড়ায়। কলেরায় আক্রান্তদের সাধারণত গুরুতর ডায়রিয়া, বমি, পেশীর খিঁচুনি এবং কখনও কখনও মৃত্যু পর্যন্ত ঘটে।

চলতি সপ্তাহে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক বার্তায় লাগোস রাজ্যের স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা এখন পর্যন্ত সেখানে কলেরায় ১৫ জনের মৃত্যুর ও সন্দেহভাজন ৩৫০ জনের আক্রান্ত হওয়ার তথ্য জানিয়েছেন।

লাগোসের পানি সরবরাহবিষয়ক সংস্থা লাগোস ওয়াটার কর্পোরেশন বাসিন্দাদের অনির্ভরযোগ্য কিংবা অপরিশোধিত উৎসের পানি পানের বিরুদ্ধে সতর্ক করে দিয়েছে। লাগোস রাজ্যের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মতে, কলেরা প্রাদুর্ভাবের প্রাথমিক কারণ দূষিত পানি পান এবং অপর্যাপ্ত স্যানিটেশনের সাথে সংশ্লিষ্ট বলে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে লাগোস ওয়াটার কর্পোরেশন।

গত সপ্তাহে নাইজেরিয়ার সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন দেশজুড়ে বর্ষাকালে এই রোগের ক্রমবর্ধমান প্রবণতা সম্পর্কে সতর্ক করে দেয়। সংস্থাটি বলেছে, চলতি বছরের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত কলেরায় ৩০ জনের প্রাণহানি ঘটেছে।

এর আগে, গত বছর আফ্রিকার সর্বাধিক জনবহুল এই দেশটিতে কলেরার প্রাদুর্ভাবে অন্তত ১২৮ জন মারা যান এবং আক্রান্ত হন ৩ হাজার ৬০০ জনের বেশি মানুষ। যদিও তার আগের বছর অর্থাৎ ২০২২ সালে দেশটিতে কলেরায় প্রাণ যায় মাত্র দু’জনের।

বিশ্বের কলেরা প্রাদুর্ভাবের জন্য বিশেষ ঝুঁকিপূর্ণ দেশ নাইজেরিয়া। দেশটিতে ২০২১ সালে কলেরা মহামারি আকার ধারণ করে। ওই বছর নাইজেরিয়ায় কলেরায় প্রাণ হারান ২ হাজার ৩০০ জনের বেশি মানুষ। সেই সময় কলেরায় মৃতদের বেশিরভাগই ছিল শিশু; যাদের বয়স ১৪ বছরের নিচে বলে দেশটির স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।

এসএস