হজে যেতে না পেরে দুঃখ করলেন গাজার বৃদ্ধা
সকল অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে শুরু হয়েছে ১৪৪৫ হিজরি সনের হজ। আজ শুক্রবার (১৪ জুন) থেকে হজযাত্রীরা হজের আনুষ্ঠানিকতা শুরু করেন। এবার বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে ১৫ লাখের বেশি হজযাত্রী সৌদিতে গেছেন।
এরমধ্যে ফিলিস্তিনের অধিকৃত পশ্চিমতীর থেকে গেছেন ৪ হাজার ২০০ জন। তবে ফিলিস্তিনের আরেক অংশ গাজা থেকে সরাসরি একজনও সৌদিতে আসতে পারেননি। কারণ দখলদার ইসরায়েলি সেনারা গাজাকে অবরুদ্ধ করে রেখেছে।
বিজ্ঞাপন
গাজার মানুষ সাধারণত রাফা ক্রসিং দিয়ে প্রথমে মিসরে যান। এরপর সেখান থেকে তারা সৌদিতে পৌঁছান। কিন্তু মে মাস থেকে এই ক্রসিংটি বন্ধ করে রেখেছে ইসরায়েলিরা।
সৌদির কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধে নিহত ও আহত ফিলিস্তিনিদের পরিবারের ১ হাজার সদস্য এবার বাদশা সালমানের আমন্ত্রণে হজ করতে এসেছেন। কিন্তু তারা কেউই সরাসরি গাজা থেকে আসেননি।
রাফা ক্রসিংটি বন্ধ হওয়ার আগে অনেকেই নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য মিসরসহ অন্যান্য জায়গায় গিয়েছিলেন। তারাই বাদশার আমন্ত্রণে এবার হজ করার সুযোগ পেয়েছেন।
গাজার দক্ষিণাঞ্চলের শহর খান ইউনিসের ৭৫ বছর বয়সী বৃদ্ধা আমনা আবু মুতলাক— তিনি এ বছর হজে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন। এই বৃদ্ধা বার্তাসংস্থা এপিকে বলেছেন, “আমরা হজ করা থেকে বঞ্চিত হয়েছি কারণ রাফা ক্রসিং বন্ধ। আমরা বঞ্চিত হয়েছি যুদ্ধ এবং ধ্বংসের কারণে। তারা (ইসরায়েল) আমাদের সবকিছু থেকে বঞ্চিত করেছে।”
সূত্র: এপি
এমটিআই