ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের জ্যেষ্ঠ নেতা ওসামা হামদান জানিয়েছেন, এই মুহূর্তে গাজায় থাকা ইসরায়েলি জিম্মিদের মধ্যে কতজন বেঁচে আছে তা কেউ জানে না।

যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম সিএনএনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এই নেতা বলেছেন, “এ ব্যাপারে আমার কোনো ধারণা নেই। কারও এ ব্যাপারে কোনো ধারণা নেই।”

গত সপ্তাহে গাজার নুসেইরাত শরণার্থী ক্যাম্পে সামরিক অভিযান চালিয়ে চার জিম্মিকে মুক্ত করে দখলদার ইসরায়েলের সেনারা। ইসরায়েলে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার পর এসব জিম্মির আত্মীয়-স্বজন ও চিকিৎসকরা দাবি করেছেন, গাজায় তাদের ওপর নিয়মিত মানসিক নির্যাতন চালানো হয়েছে। এ কারণে এখন তারা মানসিক সমস্যায় ভুগছে।

এ ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে হামাসের এই নেতা সিএনএনকে বলেন, “যদি তাদের মানসিক সমস্যা থেকে থাকে তাহলে আমি মনে করি গাজায় ইসরায়েল যা করেছে সেটির জন্য হয়েছে।”

ওসামা হামদান দাবি করেছেন, গত বছরের ৭ অক্টোবর এসব জিম্মির শারীরিক অবস্থা যা ছিল—  গাজা থেকে যখন তাদের মুক্ত করা হয় তখন শারীরিক অবস্থা আরও ভালো ছিল।

এছাড়া দখলদার ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত না হওয়ার পক্ষেও সাফাই গেয়েছেন ওসামা হামদান। তিনি বলেছেন, যদি ইসরায়েল হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতির মাধ্যমে বাকি জিম্মিদের মুক্ত করতে চায় তাহলে এটি স্থায়ী যুদ্ধবিরতি হবে হবে, সব সেনাকে গাজা থেকে প্রত্যাহার করে নিতে হবে, ফিলিস্তিনিদের নিজেদের ভবিষ্যতের সিদ্ধান্ত নিজেদের নিতে দিতে হবে, গাজার ওপর থেকে অবরোধ তুলে নিতে হবে এবং ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তি দিতে হবে।

এছাড়া গত সপ্তাহে মার্কিন প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম ওয়ালস্ট্রিট জার্নালে প্রকাশিত হামাসের গাজা শাখার প্রধান নেতা ইয়াহিয়া সিনাওয়ারের কথিত ফাঁসকৃত বার্তা নিয়েও কথা বলেছেন হামদান। তিনি জানিয়েছে, এগুলো সব মিথ্যা। ওয়ালস্ট্রিট জার্নাল তাদের প্রতিবেদনের পক্ষে জোরালো কোনো প্রমাণ দিতে পারেনি।

সূত্র: সিএনএন

এমটিআই