২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে বাস্তুচ্যুত হয়েছেন রেকর্ড ১১ কোটি ৭৩ লাখ মানুষ। এর আগে কখনও এক বছরে পৃথিবীতে এত সংখ্যক মানুষের বাস্তুচ্যুত হওয়ার ঘটনা ঘটেনি।

জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক অঙ্গসংস্থা ইউনাইটেড নেশন্স রেফিউজি এজেন্সি (ইউএনএইচসিআর) বৃহস্পতিবার এক প্রতিবেদনে সংবাদ সম্মেলনে প্রকাশ করেছে এ তথ্য। প্রতিবেদন প্রকাশ উপলক্ষে সুইজারল্যান্ডের রাজধানী জেনেভায় ইউএনএইচসিআরের সদর দপ্তরে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে উপস্থিত ছিলেন সংস্থার শীর্ষ নির্বাহী ফিলিপ্পো গ্রান্ডি।

ফিলিপ্পো গ্রান্ডি বলেন, ‘গত বছর বিশ্বজুড়ে যত মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে, তা জাপানের মোট জনসংখ্যার প্রায় সমান। বাস্তুচ্যুতির যত ঘটনা ঘটেছে, সেসবের প্রধান এবং প্রায় একমাত্র কারণ সংঘাত। সবচেয়ে বেশি বাস্তুচ্যুতি ঘটেছে গাজা, সুদান, মিয়ানমার এবং ইউক্রেনে।’

চলতি বছরও প্রায় একই হারে ঘটছে বাস্তুচ্যুতি। ২০১৪ সালের জানুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত বাড়িঘর ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছেন অন্তত ২৭ লাখ মানুষ। অর্থাৎ ২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের অক্টোবর পর্যন্ত বাস্তুচ্যুত হয়েছেন ১২ কোটি মানুষ।

সংবাদ সম্মেলনে ফিলিপ্পো গ্রান্ডি বলেন, গত ১২ বছর ধরে বিশ্বজুড়ে বাস্তুচ্যুতির ঊর্ধ্বগতি চলছে। প্রতি বছরই বাড়ছে বাড়ি-ঘর ছাড়তে বা হারাতে বাধ্য হওয়া লোকজনের সংখ্যা। ২০২২ সালে প্রায় ১১ কোটি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছিলেন বিশ্বে।

তিনি আরও জানান, শুধুমাত্র সংঘাতের কারণে ২০২৩ সালে বিশ্বের ২৯টি দেশে ৪৩ বার জরুরি অবস্থা ঘোষণা করতে বাধ্য হয়েছে ইউএনএইচআরসি।

‘সংঘাত ব্যাপারটিই আতঙ্কজনক। কোনো এলাকায় সংঘাত শুরু হলে তাই তীব্র আতঙ্কে সেখানকার লোকজন বাড়ি-ঘর ছেড়ে পালাতে থাকেন। তাই বাস্তুচ্যুতির হার কমানোর জন্য আন্তর্জাতিক এবং আঞ্চলিক রাজনীতিতে বড় পরিবর্তন প্রয়োজন। যদি তা না ঘটে, তাহলে সামনের বছরগুলোতেও বাস্তুচ্যুতির ঊর্ধহার দেখতে হবে আমাদের,’ সংবাদ সম্মেলনে বলেন ফিলিপ্পো গ্রান্ডি।

সূত্র : এএফপি

এসএমডব্লিউ