পাকিস্তানে হামলায় সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেনসহ ৭ সৈন্য নিহত
পাকিস্তানে হামলায় দেশটির ৭ সেনা সদস্য নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে একজন সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন। সেনা সদস্যদের বহনকারী গাড়িতে ইম্প্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস (আইইডি) আঘাত হানলে প্রাণ হারান তারা।
সোমবার (১০ জুন) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম দ্য ডন।
বিজ্ঞাপন
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রোববার খাইবার-পাখতুনখাওয়া প্রদেশের লাকি মারওয়াতে সেনা সদস্যদের বহনকারী গাড়িতে ইম্প্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস (আইইডি) আঘাত হানার পর একজন সেনা ক্যাপ্টেনসহ কমপক্ষে সাতজন নিহত হয়েছেন।
— Dawn.com (@dawn_com) June 10, 2024
এছাড়া খাইবার পাখতুনখাওয়ার বাজাউরে নিরাপত্তা চেকপোস্টে অতর্কিত হামলা প্রতিহত করার কথা জানিয়েছে পুলিশ।
স্থানীয় কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সেনা সদস্যদের বহনকারী গাড়িটি কাচি কামার এলাকায় যাওয়ার পথে পাঞ্জাবের মিয়ানওয়ালি জেলার সীমান্তবর্তী এলাকা সুলতানখেল গ্রামের কাছে হামলার শিকার হয়।
পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর ইন্টার সার্ভিস পাবলিক রিলেশনস (আইএসপিআর) এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘লাকি মারওয়াত জেলায় নিরাপত্তা বাহিনীর গাড়িতে একটি ইম্প্রোভাইজড বিস্ফোরক ডিভাইস বিস্ফোরিত হয়েছে।’
দেশটির সেনাবাহিনীর মিডিয়া উইং আরও জানিয়েছে, এতে কাসুরের বাসিন্দা ২৬ বছর বয়সী ক্যাপ্টেন মুহাম্মদ ফারাজ ইলিয়াস, স্কার্দুর ৫০ বছর বয়সী সুবেদার মেজর মুহাম্মদ নাজির, ৩৪ বছর বয়সী ল্যান্স নায়েক মুহাম্মদ আনোয়ার, ল্যান্স নায়েক হুসেন আলী, মুলতানের ৩৩ বছর বয়সী সিপাহী আসাদুল্লাহ, গিলগিটের ২৭ বছর বয়সী সিপাহী মনজুর হুসেন এবং রাওয়ালপিন্ডি জেলার ৩১ বছর বয়সী সিপাহী রশিদ মেহমুদ নিহত হন।
আইএসপিআর বলেছে, ‘এলাকায় উপস্থিত সন্ত্রাসীদের নির্মূল করার জন্য অভিযান চালানো হচ্ছে এবং এই জঘন্য হামলায় জড়িত অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনা হবে। নিরাপত্তা বাহিনী সন্ত্রাসবাদের হুমকি নির্মূল এবং এই কাজে ত্যাগ স্বীকার করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।
আরও পড়ুন
এদিকে খাইবার পাখতুনখাওয়ার গভর্নর ফয়সাল করিম কুন্ডি এবং মুখ্যমন্ত্রী আলি আমিন খান গান্ডাপুর লাকি মারওয়াত জেলার শাহাব খেলা এলাকায় নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর হামলার তীব্র নিন্দা করেছেন।
পৃথক ঘটনায় বাজাউর জেলার পুলিশ তাদের চেকপোস্টে রাতের আঁধারে সন্ত্রাসীদের একটি আক্রমণ প্রতিহত করে দিয়েছে। পুলিশ বলেছে, সন্ত্রাসীদের একটি দল একাধিক অস্ত্র নিয়ে খার তহসিলের মিয়াগানো এলাকায় পুলিশ পোস্টে আক্রমণ করে। হামলার সময় সন্ত্রাসীরা রকেট লঞ্চার এবং অন্যান্য অস্ত্রও ব্যবহার করে।
বিবৃতি অনুসারে, পোস্টে উপস্থিত বেশ কয়েকজন পুলিশ কর্মকর্তা সাথে সাথে আক্রমণের জবাব দেন। একজন ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তা বলেছেন, সহায়তাকারী এবং হামলাকারীদের শনাক্ত করতে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।
টিএম