২০২১ সালের আগস্টে পুনরায় আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখল করে তালেবান।

আফগানিস্তানের সারি পুল প্রদেশে সমকামিতা, অনৈতিক সম্পর্ক, চুরিসহ বিভিন্ন অপরাধের দায়ে অন্তত ৬৪ জনকে প্রকাশ্যে বেত্রাঘাত করা হয়েছে। যার মধ্যে এক ডজনেরও বেশি নারী ছিলেন।

বার্তাসংস্থা এপি জানিয়েছে, বেত্রাঘাতের ঘটনার গত বুধবার (৫ জুন) নিন্দা জানায় আফগানিস্তানে অবস্থিত জাতিসংঘের সহযোগী মিশন (ইউএনএএমএ)।

এই ৬৩ জনকে আগেরদিন মঙ্গলবার স্থানীয় তালেবান সরকার বেত্রাঘাত করে বলে জানিয়েছে ইউএনএএমএ। সংস্থাটি অপরাধীদের শারীরিক শাস্তি দেওয়া বন্ধ এবং আন্তর্জাতিক আইনের প্রতি সম্মান জানানোর জন্য তালেবানের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।

প্রকাশ্যে বেত্রাঘাত করার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে তালেবান সরকারের সুপ্রিম কোর্ট। এক বিবৃতিতে কোর্ট বলেছে, মোট ৬৩ জনকে বেত্রাঘাত করা হয়েছে। যারা সমকামিতা, চুরি এবং অনৈতিক সম্পর্কসহ অন্যান্য অপরাধে অভিযুক্ত হয়েছিলেন। আর এসব অপরাধীকে বেত্রাঘাত করা হয়েছে সারি পুলের একটি স্টেডিয়ামে। এই ৬৩ জনের মধ্যে ১৪ জন নারীও ছিলেন।

২০২১ সালের ১৫ আগস্ট আশরাফ গণি সরকারকে হটিয়ে ফের আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখল করে তালেবান। ওই সময় তারা উদারপন্থি হওয়ার আশ্বাস দেয়। তবে কিছুদিন পরই অপরাধীদের মৃত্যুদণ্ড, বেত্রাঘাতসহ অন্যান্য কঠোর শাস্তি দেওয়া শুরু করে তারা।

সর্বশেষ বেত্রাঘাতের ঘটনায় জাতিসংঘের সহযোগী সংস্থা নিন্দা জানানোর পর এ নিয়ে কথা বলেছেন তালেবান সরকারের মুখপাত্র জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ। তিনি বলেছেন, এসব অপরাধীদের ইসলামি শরীয়াহ অনুযায়ী শাস্তি দেওয়া হয়েছে। এ নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কারণ নেই।

তিনি আরও বলেছেন, আফগানিস্তানে শরীয়াহ আইন কার্যকরে তালেবান অঙ্গীকারাবদ্ধ। এছাড়া সমাজও অপরাধীদের শাস্তি চায় বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।

সূত্র: এপি, তোলো নিউজ

এমটিআই