স্বর্ণ ক্রয়ের হিসেবে গত মে মাসে বিশ্বে তৃতীয় স্থানে ছিল ভারত। স্বর্ণ বাণিজ্যের বৈশ্বিক নিয়ন্ত্রক সংস্থা ওয়ার্ল্ড গোল্ড কাউন্সিলের (ডব্লিউজিসি) সর্বশেষ বিবৃতি অনুযায়ী, মে মাসে মোট ৮ কোটি ৬৫ লাখ ডলার মূল্যের স্বর্ন কিনেছে দেশটি।

এই তালিকায় ভারতের সামনে রয়েছে কেবল চীন এবং সুইজারল্যান্ড। ডব্লিউজিসির বিবৃতিতে বলা হয়েছে, একক দেশ হিসেবে গত মে মাসে ২৫ কোটি ৩০ লাখ ডলার মূল্যের স্বর্ণ ক্রয় করে স্বর্ণের ক্রেতা দেশগুলোর তালিকায় শীর্ষে রয়েছে চীন; তারপর যথাক্রমে রয়েছে সুইজার‌ল্যান্ড এবং ভারত।

ডব্লিউজিসি আরও জানিয়েছে, গত মাসে স্বর্ণক্রয়ের প্রবণতা বেশি দেখা গেছে এশিয়া এবং ইউরোপ মহাদেশে। অন্যদিকে উত্তর আমেরিকা ও বাদবাকি অঞ্চলে ক্রয়ের প্রবণতা কমে খানিকটা বৃদ্ধি পেয়েছে স্বর্ণ বিক্রয়ের হার।

আন্তর্জাতিক বাজারে স্বর্ণের দামও বেড়েছে মে মাসে। প্রতি আউন্স (২৮ দশমিক ৩৭ গ্রাম) স্বর্ণ এই মাসে বিক্রি হয়েছে ২ হাজার ৩৪৮ ডলারে (২ লাখ ৭৫ হাজার ৪০৭ টাকা), যা আগের মাস এপ্রিলের তুলনায় শতকরা ২ শতাংশ বেশি।

করোনা মহামারি পরবর্তী মূল্যস্ফীতি, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ সহ অন্যান্য সংঘাত ও বৈশ্বিক মন্দাভাবের কারণে গত প্রায় তিন বছর ধরে ডলারের মান ওঠানামা করছে। এই অবস্থায় অর্থনীতি স্থিতিশীল রাখতে স্বর্ণ ক্রয়ের দিকে ঝুঁকছে বিশ্বের শক্তিশালী অর্থনীতির দেশগুলো। গত বছরের নভেম্বর থেকে কয়েক দফায় মূল্যবৃদ্ধি সত্ত্বেও স্বর্ণের বাজারে চাঙ্গাভাব পরিলক্ষিত হচ্ছে।

এদিকে স্বর্ণের বাজারের এই চাঙাভাবের প্রভাব পড়েছে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য, ব্যাংকিং লেনদেন এবং শেয়ার বাজারেও। ডব্লিউজিসির তথ্য অনুযায়ী, গত মে মাসে বিশ্বজুড়ে এক্সচেঞ্জ ট্রেডেড ফান্ড বা ইটিএফের (শেয়ারবাজার ভিত্তিক এক প্রকার বিনিয়োগ তহবিল যা স্টক, বন্ড, মুদ্রার পাশাপাশি স্বর্ণের বার কেনা-বেচা করে) স্বর্ণের মজুদের পরিমাণ পৌঁছেছে ৩ হাজার ৮৮ টনে, বর্তমান বাজারে যার মূল্য ২৩ হাজার ৪০০ কোটি ডলার।

ডব্লিউজিসির বিবৃতি বলছে, বৈশ্বিক ইটিএফের এই পরিমাণ স্বর্ণের মজুত গত এক বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ।

সূত্র : এএনআই

এসএমডব্লিউ