লোকসভা নির্বাচন শেষে এক্সিট পোলের রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসার পরই এক লাফে বেড়ে গিয়েছিল শেয়ার বাজার। কিন্তু ভোটের ফলাফল সামনে আসতেই শেয়ারের রেকর্ড পতন ঘটে। বিজেপি একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারানোর ইঙ্গিত মেলার পরই শেয়ারে এ পতন ঘটে। এ ঘটনার জন্য বিজেপিকে দায়ী করে নরেন্দ্র মোদি ও অমিত শাহের বিরুদ্ধে তদন্তের দাবি জানিয়েছেন কংগ্রেসের নেতা রাহুল গান্ধী।

বৃহস্পতিবার এক সাংবাদিক বৈঠকে এ দাবি জানান তিনি।

রাহুল গান্ধী বলেন, ‘৪ জুন শেয়ার বাজার রেকর্ড মাত্রায় পৌঁছাবে বলে বলেছিলেন নরেন্দ্র মোদি। ৪ জুনের আগে বিনিয়োগের জন্য বলেছিলেন অমিত শাহও। কিন্তু ৪ জুন মোদির দাবির ঠিক উলটো ঘটনাই ঘটেছে শেয়ারবাজারে। এদিন বড়সড় ধস নামে শেয়ার বাজারে। খাদে নেমে যায় শেয়ার সূচক।’

তিনি বলেন, ‘প্রথমবার দেখলাম প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীরা শেয়ার বাজার এবং সেখানে বিনিয়োগ করা নিয়ে কথা বলছেন। কিন্তু কেন পাঁচ কোটি বিনিয়োগকারীকে শেয়ার কেনার পরামর্শ দিলেন তারা? বিনিয়োগ নিয়ে পরামর্শ দেওয়া তো তাদের কাজ নয়।’

রাহুলের দাবি, বিজেপির অভ্যন্তরীণ সমীক্ষায় দল ২২০টি আসন পাচ্ছে বলে উঠে আসে। অর্থাৎ ৪০০ পার করা যে হবে না তা জানতেন বিজেপি নেতারা। ৩ জুন শেয়ার বাজারে সব রেকর্ড ভেঙে যায়। তারপরের দিনই অর্থাৎ ৪ জুন শেয়ার সূচক মুখ থুবড়ে পড়ে।

রাহুল বলেন, ৩১ মে শেয়ার বাজারে বেশ কিছু সংস্থার গতিবিধি চোখে পড়ে। ৩০ তারিখের তুলনায় দ্বিগুণ লেনদেন চোখে পড়ে। হাজার হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ হয়। বিদেশি বিনিয়োগকারীরা টাকা ঢালেন। কিন্তু এরপর খুচরা ব্যবসায়ীদের ৩১ লাখ কোটি টাকা ক্ষতি হয়।’

তিনি বলেন, এটা ভারতের শেয়ার বাজারের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় দুর্নীতি। এই নিয়ে কিছু প্রশ্ন তুলতে চাই আমরা। ভুয়া বিদেশি বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে বিজেপির যোগ রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, ভুয়া এক্সিট পোল ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল যেন সেই ফলাফলের ভিত্তিতে জনগণ শেয়ার কেনেন।

এমএ