টানা দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে ইউক্রেনে আগ্রাসন চালাচ্ছে রাশিয়া। দখলদার রুশ বাহিনীকে হটিয়ে দিতে পশ্চিমারা ইউক্রেনকে বিপুল পরিমাণে অস্ত্র সহায়তা দিচ্ছে। তবে কেবল অস্ত্রই নয়, পশ্চিমাদের কাছে যুদ্ধবিমানও চায় ইউক্রেন।

এমন অবস্থায় ইউক্রেনকে মিরেজ ২০০০ যুদ্ধবিমান দেওয়ার কথা ভাবছে ফ্রান্স। ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ নিজেই একথা জানিয়েছেন। শুক্রবার (৭ জুন) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফ্রান্স ইউক্রেনকে মিরেজ ২০০০ যুদ্ধবিমান দেওয়ার পরিকল্পনা করছে বলে প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ বৃহস্পতিবার ফরাসি টিভি স্টেশনকে জানিয়েছেন।

তিনি বলেছেন, শুক্রবার ডি-ডে বার্ষিকী উদযাপনের অংশ হিসাবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির ফ্রান্স সফর উপলক্ষ্যে তার সরকার ইউক্রেনকে এই যুদ্ধবিমান সরবরাহের কথা ঘোষণা করবে।

অবশ্য তিনি নির্দিষ্ট করে বলেননি যে, ফ্রান্স ঠিক কতগুলো মিরেজ যুদ্ধবিমান ইউক্রেনকে দেবে। বা ফ্রান্স এসব যুদ্ধবিমান ঠিক কখন বা কোন আর্থিক শর্তে কিয়েভকে প্রদান করবে সেটিও তিনি উল্লেখ করেনি।

ম্যাক্রোঁ বলেন, ফ্রান্স এই গ্রীষ্ম থেকে ইউক্রেনীয় পাইলটদের ফ্রান্সে প্রশিক্ষণের প্রস্তাব দিয়েছে।

তিনি আরও বলেন, ফ্রান্স সাড়ে চার হাজার ইউক্রেনীয় সৈন্যকে প্রশিক্ষণের প্রস্তাব দিয়েছে। সৈন্যদের কোথায় প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে তা তিনি বলেননি, তবে তিনি বলেন, এই মুহূর্তে ইউক্রেনের ভূখণ্ডে কোনও ফরাসি সামরিক প্রশিক্ষক নেই।

মিরেজ-২০০০ যুদ্ধবিমান হচ্ছে ফ্রান্সের তৈরি মাল্টিরোল সিঙ্গেল ইঞ্জিন চতুর্থ প্রজন্মের ফাইটার জেট। ১৯৭০ দশকের শেষের দিকে লাইটওয়েট ফাইটার হিসেবে মিরেজ তৈরি করা হয়। পরবর্তীতে বেশ কয়েকটি ‘স্ট্রাইক ভ্যারিয়েন্ট’ তৈরি করা হয়।

এছাড়া মিরেজ ‘এয়ার টু এয়ার’ এবং ‘এয়ার টু গ্রাউন্ড’ দুই ধরনের হামলার ক্ষেত্রেই সফল। এই যুদ্ধবিমান রাতেও হামলা চালাতে পারে।

প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি গত বছরের সেপ্টেম্বরে বলেছিলেন, তিনি প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁর সাথে কথোপকথনে ফ্রান্সে ইউক্রেনীয় পাইলটদের প্রশিক্ষণের বিষয়ে সমঝোতা করেছেন।

এছাড়া ইউক্রেনীয় বিমান বাহিনীর প্রধান গত জানুয়ারিতে বলেছিলেন, ফরাসি মিরেজ যুদ্ধবিমান ইউক্রেনীয় বিমান বাহিনীকে শক্তিশালী করতে পারে।

টিএম