লোকসভা নির্বাচনে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়ায় এবার জোট সরকার গঠন করতে যাচ্ছে নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন বিজেপি। দলটি লোকসভায় নির্বাচন করেছিল ‘এনডিএ’ জোট হিসেবে।

তবে ‘এনডিএ’ নামের জোটটিতে যেসব দল রয়েছে তারা সরকার গঠনের আগে বিজেপির কাছে বিভিন্ন দাবি জানিয়েছে। তারা বলেছে, তাদের সঙ্গে জোট করে সরকার গঠন করতে চাইলে গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রীর পদ, স্পিকারের দায়িত্ব, বিশেষ তহবিল এবং তাদের রাজ্যকে বিশেষ মর্যাদা দিতে হবে।

এবারের নির্বাচনে মোদির বিজেপি এককভাবে ২৪০টি আসন পেয়েছে। তবে ভারতের সংবিধান অনুযায়ী, সরকার গঠন করতে চাইলে অন্তত ২৭২টি আসনে জয় পেতে হবে। বিজেপি একা এই ম্যাজিক ফিগার স্পর্শ করতে না পারলেও দলটির জোট ‘এনডিএ’ ২৯৩টি আসন পেয়েছে। ফলে তারা সহজেই জোট সরকার গঠন করতে পারবে।

মোদি এককভাবে সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়ায় বিহারের মুখ্যমন্ত্রী ও জেডি (ইউ) নেতা নীতিশ কুমার এবং টিডিপির নেতা চন্দ্রবাবু নাইডু হঠাৎ করে ‘কিংমেকারে’ পরিণত হন। কারণ এ দুই নেতার দল যথাক্রমে ১৬ ও ১২টি আসনে জিতে নেয়। তাদের দলের ২৮টি আসন মোদির জোট সরকার গঠন করার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখবে।

বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে টিডিপির এক মুখপাত্র এবং এনডিএ জোটের পাঁচটি সূত্র জানিয়েছে, সরকার গঠনের আগে এই দুটি দলই তাদের পুরোনো দাবিগুলো আবারও সামনে আনছে।

যার মধ্যে অন্যতম একটি হলো বিহার এবং অন্ধ্র প্রদেশকে বিশেষ মর্যাদা দিতে হবে। এরমাধ্যমে এ দুটি রাজ্যে কেন্দ্র সরকার থেকে আরও বেশি সরকারি বরাদ্দ আসবে। বিহার হলো ভারতের সবচেয়ে দরিদ্রতম রাজ্য। অপরদিকে ২০১৪ সালে যখন অন্ধ্র প্রদেশ থেকে তেলেঙ্গানাকে আলাদা করে ফেলা হয় তখন এই রাজ্যটিও তাদের বেশিরভাগ সম্পদ হারায়।

বিশেষ মর্যাদা ও মন্ত্রীর পদ ছাড়াও অন্ধ্র প্রদেশের সেচ ব্যবস্থা এবং নতুন রাজধানীর কাজ সম্পন্ন করতে আরও বেশি বরাদ্দের দাবি জানিয়েছে টিডিপি।

টিডিপির মুখপাত্র এ ব্যাপারে রয়টার্সকে বলেছেন, “আমরা এবারই প্রথমবার এনডিএ জোটে আছি এমনটি নয়। আমাদের বিশ্বাস আছে আমরা যেগুলোর দাবিদার সেগুলো পাব।”

তিনি আরও বলেছেন, “এনডিএর সঙ্গে প্রথম দিকের সময়ে, আমাদের জন্য মন্ত্রীর পদ এবং আমাদের দল থেকে স্পিকারের পদ নির্ধারিত করা ছিল।”

অপরদিকে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমার মন্ত্রীর পদ ছাড়াও শিল্প প্রকল্পের জন্য আরও বরাদ্দ দেওয়ার দাবি করেছেন।

• চলছে আলোচনা

আজ বৃহস্পতিবার জোটের শরিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনায় বসেছেন বিজেপির নেতারা। তারা মন্ত্রীর দপ্তর নিয়ে আলোচনা করবেন বলে জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স। এরপর কাল শুক্রবার মোদি প্রেসিডেন্ট দ্রৌপদী মুর্মুর কাছে গিয়ে জানাবেন তিনি সরকার গঠন করবেন।

সূত্র: রয়টার্স

এমটিআই