তৃতীয়বারের মতো প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেবেন নরেন্দ্র মোদি। প্রথমে বলা হয়েছিল ৮ জুন শনিবার তার শপথ অনুষ্ঠান হবে। কিন্তু এটি একদিন পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে।

কেন পেছাল শপথ অনুষ্ঠান?

শপথ অনুষ্ঠান কেন পিছিয়ে দেওয়া হলো সেটির কোনো সুস্পষ্ট কারণ জানায়নি ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো।

তবে ‘আজতাক বাংলা’ এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, মোদির বিজেপির নেতৃত্বাধীন জোট ‘এনডিএ’র দলগুলোর মধ্যে দফায় দফায় আলোচনা চলছে। এ কারণেই শপথ পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে কি না সেটি অবশ্য স্পষ্ট করে জানায়নি সংবাদমাধ্যমটি।

দেশটির বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে বলা হয়েছে, মোদির এনডিএ জোটের শরিক দলগুলো বিভিন্ন দাবি-দাওয়া করছে। তারা গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়সহ স্পিকার পদের আবদার করছে। এসব বিষয় নিয়ে এখন বিজেপি এবং জোটের অন্যান্য দলগুলোর মধ্যে আলোচনা হচ্ছে।

তবে বিজেপি স্বরাষ্ট্র, পররাষ্ট্র, প্রতিরক্ষা ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব জোটগুলোকে দেবে না বলে একটি সূত্রের বরাতে জানিয়েছে প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।

এনডিএ জোটে থাকা বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমার এবং তেলেগু দিসাম পার্টির প্রধান চন্দ্রবাবু নাইডু বেশ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছেন। লোকসভার নির্বাচনে তাদের জোট যথাক্রমে ১৬টি এবং ১২টি আসন জিতে নিয়েছে।

এ দুজন এখন বেশ কয়েকটি পূর্ণমন্ত্রী, উপমন্ত্রী এবং স্পিকারের পদ চেয়ে বসেছেন। তবে তাদের সব চাহিদা বিজেপি পূরণ করবে না বলে ইঙ্গিত দিয়েছে।

এদিকে এবারের নির্বাচনে এককভাবে ২৪০টি আসন পেয়েছে মোদির বিজেপি। অপরদিকে বিজেপির নেতৃত্বাধীন ‘এনডিএ’ জোট পেয়েছে ২৯৩টি আসন। প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেস এককভাবে ৯৯টি আসনে জয় পেয়েছে। আর তাদের জোট ‘ইনডিয়া’ পেয়েছে ২৩৪টি আসন।

সূত্র: আজতাক বাংলা

এমটিআই