ভারতের লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা চলছে। এই ফলের ভিত্তিতে নির্ধারিত হবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আবারও প্রধানমন্ত্রী হবেন কি না। মঙ্গলবার (৪ জুন) সকাল থেকে চলা ভোট গণনায় এখন পর্যন্ত মোদির জোট এনডিএ এগিয়ে আছে। সরকার গঠনের জন্য যে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রয়োজন সেটি তারা পেতে যাচ্ছে বলে মনে হচ্ছে। তবে তাদের প্রধান বিরোধী জোট রাহুল গান্ধীর কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন ‘ইনডিয়া’ শক্ত লড়াই করছে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি বলেছে, এই নির্বাচনের ফলাফল একক দল হিসেবে মোদির বিজেপির জন্য হতাশাজনক। অপরদিকে কংগ্রেসের জন্য বড় চমক।

সংবাদমাধ্যমটির তথ্য অনুযায়ী, সকাল ১১টা পর্যন্ত সবচেয়ে বড় চমক দেখা গেছে উত্তর প্রদেশে। এই প্রদেশটিতে ২০১৪ এবং ২০১৯ সালে নিরঙ্কুশ জয় পেয়েছিল মোদির বিজেপি। কিন্তু এবার সেখানে ‘ইনডিয়া’ জোটের অধীনে নির্বাচন করা সমাজবাদী পার্টি এবং কংগ্রেসের প্রার্থীরা বিজেপির সঙ্গে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই করছে।

এছাড়া পশ্চিমবঙ্গে ২০১৯ সালে মোদির জোট যে ১৮টি আসন পেয়েছিল সেটি থেকেও এবার তারা পিছিয়ে আছে।

গত ১৯ এপ্রিল থেকে ১ জুন পর্যন্ত সাত ধাপে লোকসভার ৫৪৩টি আসনে ভোট হয়েছে। যদি কোনো দল বা জোট সরকার গঠন করতে চায় তাহলে তাদের ২৭২টি আসন পেতে হবে। মোদির জোট এটি অবশ্য পেয়ে যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

কিন্তু ১ জুন নির্বাচন শেষে নির্বাচনী সংস্থাগুলো বুথ ফেরত যে জরিপ প্রকাশ করেছিল এতে দেখা গিয়েছিল মোদির এনডিএ জোট ৪০০টিরও বেশি আসন পাবে। তবে এবার তারা এখন পর্যন্ত এটির ধারেকাছেও যেতে পারেনি।

অপরদিকে কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন ‘ইনডিয়া’ জোটের ভরাডুবির তথ্য দেওয়া হয়েছিল বুথ ফেরত জরিপে। কিন্তু সেটি ভুল প্রমাণিত হয়েছে।

সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী একক দল হিসেবে বিজেপি ২৩৯টি আসনে, কংগ্রেস ৯৮টি এবং অন্যান্য দল ২০৬টি আসনে এগিয়ে রয়েছে।

এবারের নির্বাচনের আগে মোদি ভারতের অবকাঠামো উন্নয়ন নিয়ে প্রচারণা চালিয়েছিলেন। এছাড়া আলোচিত সমালোচিত ৩৭০ ধারা এবং অযোধ্যায় তৈরি করা রাম মন্দিরকে নির্বাচনের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করেছেন।

সূত্র: এনডিটিভি

এমটিআই