ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি করতে এবং যুদ্ধবিরতির মাধ্যমে জিম্মিদের ফিরিয়ে আনতে ইসরায়েলের ওপর চাপ বাড়ছে। গত শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন একটি যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দেন। তিনি জানান, ইসরায়েলের পক্ষে হয়ে তিনি প্রস্তাবটি দিয়েছেন। ওই সময় হামাসকে প্রস্তাবটি মেনে নেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

তবে বাইডেন প্রস্তাবটি উত্থাপনের পর পরই দখলদার ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু তা প্রত্যাখ্যান করেন। তিনি বলেন, গাজা থেকে হামাসকে নির্মূল না করা পর্যন্ত তারা যুদ্ধ থামাবেন না।

তবে কাতার বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক লুসিয়ানো জাক্কারা সংবাদমাধ্যম আলজাজিরাকে বলেছেন, নেতানিয়াহু আসলে যুদ্ধবিরতি নিয়ে ফাঁদে পড়েছেন। একদিকে জিম্মিদের পরিবার ও সাধারণ ইসরায়েলিরা যুদ্ধবিরতিতে রাজি হতে নেতানিয়াহুকে চাপ দিচ্ছেন। অপরদিকে তার জোট সরকারের দুই উগ্রপন্থি মন্ত্রী হুমকি দিচ্ছেন, যদি নেতানিয়াহু যুদ্ধবিরতিতে রাজি হন তাহলে তারা সরকার ভেঙে দেবেন।

আর যদি ওই দুই উগ্রপন্থির কারণে সরকার ভেঙে যায় তাহলে নেতানিয়াহুর রাজনৈতিক ক্যারিয়ারের ইতি ঘটতে পারে। এ বিষয়টি নিয়েই মূলত নেতানিয়াহু বেশি ভয় পাচ্ছেন।

তিনি বলেছেন, “যুদ্ধবিরতির সিদ্ধান্তটি দীর্ঘদিন ধরে পেছাচ্ছেন নেতানিয়াহু। কারণ তিনি বুঝতে পেরেছেন যুদ্ধে জয় পাওয়া সম্ভব নয়।”

“নেতানিয়াহুকে (রাজনৈতিকভাবে) বাঁচতে হবে। তবে বিষয়টি হলো এ পরিস্থিতিতে তিনি কীভাবে বাঁচবেন। যেখানে তাকে একটি বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। তিনি যে সিদ্ধান্তই নেন না কেন সমালোচিত হবেন।”

কাতার বিশ্ববিদ্যালয়ের এই সহযোগী অধ্যাপক আরও বলেছেন, নেতানিয়াহু এখন যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসে গিয়ে সময় ক্ষেপণের চেষ্টা চালাচ্ছেন। সঙ্গে তিনি জিম্মিদের মুক্তির ক্ষেত্রেও আরও সমর্থন পাওয়ার চেষ্টা করছেন। যেন তিনি আরও কিছুদিন রাজনৈতিকভাবে বেঁচে থাকতে পারেন।

সূত্র: আলজাজিরা

এমটিআই