মেক্সিকোর রাজধানী মেক্সিকো সিটিতে দাঙ্গা পুলিশের সঙ্গে সংঘাতের এক পর্যায়ে ইসরায়েলি দূতাবাসে আগুন দিয়েছে ফিলিস্তিনপন্থি বিক্ষোভকারীরা। বুধবার ঘটেছে এই ঘটনা।

পুলিশ অবশ্য জানিয়েছে, আগুনে দূতাবাসের দেয়াল ও দেয়ালের ভেতরের কিছু অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হলেও মূল ভবনের কোনো ক্ষতি হয়নি।

মেক্সিকো সিটির লোমাস ডি শাপুলটেপেক এলাকায় ইসরায়েলের দূতাবাস অবস্থিত।  গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর রাফায় ইসরায়েলি বাহিনীর সাম্প্রতিক বিমান হামলায় ৪৫ জন ফিলিস্তিনি নিহতের প্রতিবাদে ইসরায়েলি দূতাবাসের সামনে বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা করেছিলেন মেক্সিকান ফিলিস্তিনপন্থিরা।

সেই অনুযায়ী লোমাস ডি শাপুলটেপেকে বুধবার জড়ো হন প্রায় ২০০ ফিলিস্তিনপন্থি আন্দোলনকারী কিন্তু দাঙ্গা পুলিশ আগে থেকেই সেখানে ব্যারিকেড দিয়ে অবস্থান নেওয়ায় তাদের সঙ্গে সংঘর্ষ শুরু হয় বিক্ষোভকারীদের।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া বিভিন্ন ভিডিওচিত্রে দেখা গেছে, বিক্ষোভকারীদের মধ্যে বেশ কয়েকজন সামনে এগিয়ে এসে ব্যারিকেড সরানোর চেষ্টা করছেন, আর পেছন থেকে কয়েকজন বিক্ষোভকারী দূতাবাস লক্ষ্য করে পাথর ও মলোটভ ককটেল (পেট্রোল বোমা) ছুড়ে মারছেন। আগুন লেগেছে এই পেট্রোল বোমার জেরে।

প্রসঙ্গত, জাতিসংঘভিত্তিক আদালত ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট (আইসিজে) অব জাস্টিসে গাজায় ইসরায়েলি বাহিনী গণহত্যা চালাচ্ছে— অভিযোগ করে যে মামলা করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা, সেই মামলাকে সম্প্রতি দাপ্তরিকভাবে সমর্থন জানিয়েছে মেক্সিকো।

গত শুক্রবার গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর রাফায় ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযান তাৎক্ষণিকভাবে বন্ধ করার আদেশ দিয়ে রায় দিয়েছে আইসিজে, কিন্তু সেই আদেশ প্রত্যাখ্যান করে ইসরায়েলের যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভা জানিয়েছে, বেসামরিক ফিলিস্তিনিদের ক্ষয়ক্ষতি এড়িয়েই সেখানে অভিযান চালাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী।

এর মধ্যেই রোববার রাফায় ফিলিস্তিনি শরণার্থী শিবিরে বোমা হামলা চালায় ইসরায়েলি বাহিনী, এতে নিহত হন ৪৫ জন ফিলিস্তিনি। ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী আইডিএফ জানিয়েছে, হামাসকে নির্মূলের অংশ হিসেবে সেই বোমা ফেলা হয়েছিল; অন্যদিকে দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, ওই হামলা ছিল একটি ‘হৃদয় বিদারক ভুল’।

ওই হামলা পর থেকে বিশ্বজুড়ে এই যুদ্ধবিরোধী বিক্ষোভ নতুন মাত্রা পেয়েছে।

সূত্র : আরটি

এসএমডব্লিউ