ফাইল ছবি

মিয়ানমারের দক্ষিণপূর্বাঞ্চলে আঘাত হানা এক ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছে বাংলাদেশ ও ভারতের বিস্তৃত অঞ্চল। জার্মানির ভূতাত্ত্বিক গবেষণা সংস্থা জার্মান রিসার্চ সেন্টার ফর জিওসায়েন্সেস (জিএফজেড) বলছে, বুধবার মিয়ানমারের স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৭টা ৪৩ মিনিটে আঘাত হানা এই ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল রিখটার স্কেলে ৫ দশমিক ৬।

জিএফজেড বলেছে, মিয়ানমারের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় মাওলাইক শহরে ৫ দশমিক ৬ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। এই ভূমিকম্পে মিয়ানমারের সীমান্ত লাগোয়া ভারতের আসাম, মেঘালয়সহ বাংলাদেশও কেঁপে উঠেছে।

জার্মান এই ভূতাত্ত্বিক সংস্থা বলেছে, মিয়ানমারের স্যাগাইং প্রদেশের মাওলাইক শহর থেকে ২৮ কিলোমিটার দূরে ৮৪ কিলোমিটার ভূগর্ভে এই ভূমিকম্পের উৎপত্তি হয়েছে। তবে এতে তাৎক্ষণিকভাবে কোনও ক্ষয়ক্ষতি কিংবা হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

এদিকে, মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএস বলেছে, মাওলাইক শহরে ৫ দশমিক ৪ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। ভূমিকম্পের কেন্দ্র ছিল মাওলাইক শহর থেকে ২৩ দশমিক ৫৪ ডিগ্রি উত্তর অক্ষাংশ ও ৯৪ দশমিক ৬৯ ডিগ্রি পূর্ব অক্ষাংশে ৯৪ দশমিক ৭ কিলোমিটার ভূগর্ভে।

মিয়ানমারে উৎপত্তি হওয়া ভূমিকম্পে বুধবার (২৯ মে) সন্ধ্যা ৭টা ১৭ মিনিটের দিকে কেঁপে উঠেছে ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেটের বিভিন্ন এলাকা। ভূমিকম্পের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তা হাফিজুর রহমান।

তিনি বলেন, ঢাকা, চট্রগ্রাম ও সিলেট অঞ্চলে মাঝারি মাত্রার ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি— ভূমিকম্পটি ৫.৪ মাত্রার ছিল। এর উৎপত্তিস্থল ঢাকা থেকে ৪৩৬ কি.মি দূরে মিয়ানমারে।

এর আগে, গত ২৫ ফেব্রুয়ারি মিয়ানমারে মাঝারি মাত্রার জোড়া ভূমিকম্প আঘাত হানে। দেশটির ইরাবতি ও রাখাইন রাজ্যের পাশাপাশি বাংলাদেশের কক্সবাজারেও ওই ভূকম্পন অনুভূত হয়। ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল ছিল ঢাকার আগারগাঁও থেকে ৩৭৮ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৪ দশমিক ১।

সূত্র: ভলকানো ডিসকভারি, ইউএসজিএস।

এসএস