কয়েকদিন আগেই ওশেনিয়া অঞ্চলের দেশ পাপুয়া নিউগিনিতে ভয়াবহ ভূমিধসের ঘটনায় জীবিত সমাহিত হয়েছেন ২ হাজারেরও বেশি মানুষ। তবে বিপদ যেন এখনও কাটেনি। দেশটিতে আবারও ভূমিধসের আশঙ্কা করা হচ্ছে।

আর এরই জেরে সতর্কতার অংশ হিসেবে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে হাজার হাজার মানুষকে। মঙ্গলবার (২৮ মে) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা এএফপি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাপুয়া নিউগিনিতে আরও ভূমিধস হতে পারে বলে সতর্ক করেছে দেশটির কর্তৃপক্ষ। এমন অবস্থায় প্রত্যন্ত ভূমিধস এলাকার নিকটবর্তী গ্রামগুলো থেকে প্রায় ৭ হাজার ৯০০ মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে পাপুয়া নিউগিনির এঙ্গা প্রদেশে মারাত্মক ভূমিধসের ঘটনা ঘটে এবং এতে ২ হাজারেরও বেশি মানুষ জীবিত সমাহিত হয়েছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

যেসব গ্রামে ভূমিধসের ঘটনা ঘটেছে সেই এলাকাগুলোর দুর্গম অবস্থান, সড়ক সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া, ভারী বৃষ্টিপাত এবং কাছাকাছি উপজাতীয় সহিংসতার কারণে উদ্ধার ও ত্রাণ তৎপরতা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।

এঙ্গা প্রাদেশিক প্রশাসক স্যান্ডিস সাকা সতর্ক করেছেন, এমন অবস্থায় বিপর্যয় আরও খারাপ হতে পারে।

সাকা বলেছেন, কর্তৃপক্ষ প্রায় ৭ হাজার ৯০০ লোককে সরিয়ে নেওয়ার কাজে সমন্বয় করার চেষ্টা করছে। কারণ মাউন্ট মুঙ্গালো থেকে এখনও শিলা, চুনাপাথর ও পাথরের গুঁড়ো খসে পড়ছে। এমন অবস্থায় নতুন বিপর্যয়ের আশঙ্কা রয়েছে।

এএফপিকে তিনি বলেছেন, ‘বিপর্যয় এখনও চলছে। প্রতি ঘণ্টায় শিলা ভাঙার শব্দ শুনতে পাওয়া যাচ্ছে। শব্দ শুনতে বোমা বা বন্দুকের গুলির মতো মনে হচ্ছে এবং পাথরগুলো নিচে পড়ছে।’

এদিকে সোমবার উপগ্রহচিত্রে ভূমিধসের এলাকার ভয়াবহতা ধরা পড়েছে। সাকা বলছেন, ‘এখানে বাড়ি, ব্যবসা, গির্জা এবং স্কুলগুলোর পাশাপাশি প্রচুর মানুষের বাস ছিল, কিন্তু এটি সম্পূর্ণরূপে নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে। এটি এখন চাঁদের পৃষ্ঠের মতো হয়ে গেছে, এখানে এখন শুধুই পাথর।’

দুর্যোগ মোকাবিলা বা উদ্ধার কার্যক্রমে সরকারের অক্ষমতায় ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘মানুষ তাদের হাত এবং আঙ্গুল দিয়েই খনন করছে। এই ধরনের ট্র্যাজেডি মোকাবিলা করার সক্ষমতা আমার নেই।’

অবশ্য পাপুয়া নিউগিনির প্রতিরক্ষা বাহিনী ভারী সরঞ্জাম নিয়ে ওই এলাকায় প্রবেশের চেষ্টা করছে বলে জানিয়েছে এএফপি।

টিএম