রেমালের তাণ্ডবে বিভিন্ন জায়গায় গাছ উপড়ে পড়ে

ঘূর্ণিঝড় রেমালের তাণ্ডব শুরু হয়েছে রাতেই। মূলত বাংলাদেশ উপকূল এবং পশ্চিমবঙ্গের সাগরদ্বীপের মাঝামাঝি এলাকা দিয়ে বঙ্গোপসাগর উপকূলে আঘাত হেনেছে প্রবল ঘূর্ণিঝড় রেমাল।

এরপর শক্তিশালী এই ঘূর্ণিঝড় পশ্চিমবঙ্গে রাতভর তাণ্ডব চালিয়েছে। অবশ্য ঘূর্ণিঝড়ের মধ্যেই মানুষকে নিরাপদে থাকার বার্তা দিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

অন্যদিকে ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ জানিয়েছেন, যুদ্ধকালীন পরিস্থিতির মতোই কাজ করছেন বিপর্যয় মোকাবিলার সঙ্গে যুক্ত সকল কর্মী।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম বলছে, প্রবল ঘূর্ণিঝড় রেমাল নিয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে মুখ্যমন্ত্রী কিংবা দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, সকলেই উদ্বিগ্ন রয়েছেন।

ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এনডিআরএফের ডিজি, প্রধানমন্ত্রীর প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি, স্বরাষ্ট্রসচিব, ক্যাবিনেট সচিবদের সঙ্গে রাতেই বৈঠক করেছেন। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে বিষয়টি দেখার জন্য নির্দেশও দিয়েছেন তিনি।

অন্যদিকে দু’দিন ধরেই পশ্চিমবঙ্গে প্রশাসনিক কেন্দ্র নবান্ন থেকে বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। পুলিশ প্রশাসন থেকে বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারাও যুক্ত রয়েছেন নজরদারিতে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রতি মুহূর্তের খবর নিচ্ছেন।

রোববার রাতে সাইক্লোনের ল্যান্ডফল শুরু হতেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সকলকে নিরাপদে থাকার বার্তা দেন। সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে তিনি লিখেছেন, ‘বাড়িতে থাকুন, নিরাপদে থাকুন। আমরা সবসময় আপনাদের জন্য আছি। আজ এবং সবসময়। এই ঝড়ও কেটে যাবে।’

অন্যদিকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও ঘূর্ণিঝড় রেমাল নিয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেছেন। তিনি তার এক্স হ্যান্ডেলে দেওয়া এক পোস্টে জানান, পর্যাপ্ত এনডিআরএফ মোতায়েন করা হয়েছে। যুদ্ধকালীন পরিস্থিতির মতোই কাজ করছেন বিপর্যয় মোকাবিলার সঙ্গে যুক্ত সব কর্মী।

তিনি আরও বলেন, মানুষদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। মানুষের যাতে জীবনের কোনও ঝুঁকি না হয়, সে জন্য মোদি সরকারের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

টিএম