ফাইল ছবি

ভারতে চলছে লোকসভা নির্বাচন। সাতটি দফায় দেশটিতে এবারের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে এবং ইতোমধ্যেই পঞ্চম দফার ভোটগ্রহণও সম্পন্ন হয়েছে। আর এরই মধ্যে এবার দিল্লিবাসীর জন্য ভিডিও বার্তা দিয়েছেন ভারতের শীর্ষস্থানীয় রাজনীতিক এবং দেশটির প্রধান বিরোধী দল ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের সাবেক সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী।

তিনি ভারতের এবারের নির্বাচনকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে উল্লেখ করে এটিকে গণতন্ত্র ও সংবিধান রক্ষার নির্বাচন বলে আখ্যায়িত করেছেন। এমনকি এই লড়াইয়ে সবাইকে যার যার ভূমিকা পালন করতে হবে বলেও মন্তব্য করেন কংগ্রেসের রাজ্যসভার এই সাংসদ।

বৃহস্পতিবার (২৩ মে) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২৫ মে দিল্লিতে ভোটগ্রহণ হবে। এর আগে বৃহস্পতিবার দেওয়া ওই ভিডিও বার্তায় সোনিয়া গান্ধী দিল্লির জনগণের উদ্দেশ্যে ভাষণ দেন। তিনি বলেন, ‘প্রতিটি ভোট কর্মসংস্থান সৃষ্টি করবে, মুদ্রাস্ফীতি হ্রাস করবে এবং নারীদের ক্ষমতায়ন করবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি নির্বাচন। এই নির্বাচন দেশের গণতন্ত্র ও সংবিধান রক্ষার নির্বাচন।’

নির্বাচনে দিল্লির জনগণকে তাদের ভূমিকা পালন করতে হবে বলে জোর দিয়ে সাবেক এই কংগ্রেস প্রধান বলেন, ‘এই নির্বাচনে বেকারত্ব, মুদ্রাস্ফীতি এবং সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের ওপর আক্রমণের মতো ইস্যুতে লড়াই চলছে। এই লড়াইয়ে আপনাকে আপনার ভূমিকা পালন করতে হবে।’

তার ভাষায়, ‘আপনাদের প্রতিটি ভোট কর্মসংস্থান সৃষ্টি করবে, মুদ্রাস্ফীতি হ্রাস করবে, নারীদের ক্ষমতায়ন করবে এবং ন্যায় ও সমতার ভারত তৈরি করবে।’

সোনিয়া আরও বলেন, বেকারদের চাকরি হবে কিনা, জিনিসপত্রের দামের ঊর্ধ্বগতিতে লাগাম টানা যাবে কি না সবই ঠিক হবে আপনার একটি ভোটের ওপর। অনুগ্রহ করে এগুলো বিবেচনায় রেখে ভোট দিন।

মূলত শনিবার দিল্লির সাতটি আসনে ভোট অনুষ্ঠিত হবে। তার আগে বৃহস্পতিবার বিকেলেই শেষ হয় প্রকাশ্য প্রচার। দিল্লিতে সাতটি আসনের মধ্যে তিনটিতে লড়াই করছে কংগ্রেস, আর চারটিতে আম আদমি পার্টি (এএপি)। বিজেপির সঙ্গেই মূলত তাদের প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে।

সোনিয়া বলেন, ‘দিল্লির সাতটি আসনে কংগ্রেস এবং ইন্ডিয়া ব্লকের প্রার্থীদের বিপুল ভোটে বিজয়ী করার জন্য আপনাদের কাছে আমি আবেদন করছি।’

প্রসঙ্গত, শারীরিক কারণে সোনিয়া এবার জনসভায় অংশ নিচ্ছেন না। শুধু এ মাসের শুরুতে রায়বেরলিতে গিয়েছিলেন রাহুল গান্ধীর মনোনয়ন দাখিলের দিন। টানা চারবার রায়বেরলির সংসদ সদস্য ছিলেন সোনিয়া। এবার সেখানে প্রার্থী হয়েছে রাহুল গান্ধী।

মনোনয়ন পেশের সময় ছেলেন পাশে থাকার পাশাপাশি সোনিয়া সেদিন একটি জনসভায়ও ভাষণ দেন। রায়বেরলিবাসীর উদ্দেশে সেদিন তিনি বলেন, ‘ছেলেকে আপনাদের হাতে তুলে দিয়ে গেলাম।’

সেদিন সেই মঞ্চ থেকেও দেশের গণতন্ত্র ও সংবিধান রক্ষার ডাক দিয়েছিলেন কংগ্রেস নেত্রী।

এদিকে বৃহস্পতিবার দিল্লিতে জনসভা করেন রাহুল গান্ধী। আম আদমি পার্টি ও কংগ্রেসের যৌথ প্রচার সভায় রাহুল অভিযোগ করেন, নরেন্দ্র মোদি সবাইকে বোকা বানিয়ে দিয়েছেন।

একই সময়ে হরিয়ানার পানিপথের সভায় প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বলেন, ভারত কৃষি ও কৃষকের দেশ। ইন্দিরা গান্ধী তাই দেশে সবুজ বিপ্লব করেছিলেন। কৃষকদের স্বার্থ রক্ষায় কাজ করতেন তিনি। আর নরেন্দ্র মোদির জমানায় কৃষকদের দাবি আদায়ে দিল্লির বর্ডারে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয়।

টিএম