সাগরপথে ইউরোপে মানবপাচারের সময় ট্রলারডুবে শত শত অভিবাসনপ্রত্যাশীর নিহতের ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে মিসরের ৯ জন নাগরিকের বিচার শুরু হয়েছে দক্ষিণ গ্রিসের একটি আদালতে।

গত বছর ১৪ জুন আদ্রিয়ানা নামের একটি মাছধরা ট্রলার ৫ শতাধিক অভিবাসনপ্রত্যাশীসহ ভূমধ্যসাগরে ডুবে যায়। লিবিয়ার উপকূল থেকে ইতালির উদ্দেশে যাচ্ছিল ট্রলারটি। এই অভিবাসনপ্রত্যাশীদের অধিকাংশই ছিলেন সিরিয়া, পাকিস্তান এবং মিসরের নাগরিক।

ডুবে যাওয়া সেই ট্রলারটি থেকে ১০৪ জনকে জীবিত এবং ৮২ জনকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছিল। বাকিদের কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। ইউরোপীয় ইউনিয়নের সীমান্ত প্রতিরক্ষা এবং অ্যাসাইলাম অপারেশন ব্যবস্থাকে প্রায় কাঁপিয়ে দিয়েছিল এই ঘটনা।

এমনকি জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসও এ ঘটনাকে ভয়াবহ বলে উল্লেখ করেছিলেন।

ঘটনায় সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে ৯ জনকে গ্রেপ্তার করে গ্রিসের কোস্টগার্ড বাহিনী। তাদের সবার বয়স ২০ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে। এরা সবাই আড্রিয়ানার মালিকপক্ষের লোক-কর্মচারী এবং মানবপাচারের সঙ্গে যুক্ত। জীবিত অবস্থায় উদ্ধার অভিবাসনপ্রত্যাশীদের সাক্ষ্যের ভিত্তিতে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাদের।

গ্রিসভিত্তিক কিছু মানবাধিকার সংস্থা এই বিচারের আপত্তি জানিয়েছিল। মঙ্গলবার বিচার শুরুর দিন আদালতের সামনে কিছু মানুষ বিক্ষোভও শুরু করেছিলেন। তবে সেই বিক্ষোভ ছত্রভঙ্গ করে দিয়েছে আদালত পুলিশ। দু’জনকে গ্রেপ্তারও করেছে।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের সীমান্ত সুরক্ষা কর্তৃপক্ষ ফ্রন্টেক্স এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, সীমাহীন ঝুঁকি সত্ত্বেও সাগরপাড়ি দিয়ে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের ইউরোপে প্রবেশের প্রবণতা বাড়ছে।

সূত্র : এপি, আল আরাবিয়া

এসএমডব্লিউ