ইরানের পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশে দেশটির প্রেসিডেন্টকে বহনকারী একটি হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়েছে। ইরানের সংবাদমাধ্যমে দাবি করা হয়েছে, হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হয়েছে প্রদেশটির ওজি গ্রামে।

তবে বিরূপ আবহাওয়ার কারণে সেখানে এখনো উদ্ধার অভিযান চালানো যায়নি।

এর মধ্যে বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে নাম গোপন রাখার শর্তে ইরানের এক কর্মকর্তা বলেছেন, তারা শঙ্কা করছেন প্রেসিডেন্ট রাইসি হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে নিহত হয়েছেন।

যদি এই দুর্ঘটনায় রাইসি নিহত হন তাহলে দেশটির দায়িত্ব নেবেন ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মোখবার। ইরানের সংবিধানে বলা আছে, প্রেসিডেন্টের মৃত্যু হলে সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতার অনুমোদন সাপেক্ষে দায়িত্বভার গ্রহণ করবেন ভাইস প্রেসিডেন্ট।

ইরানের সংবিধানে আরও বলা আছে, সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা হলেন রাষ্ট্রের প্রধান। আর প্রেসিডেন্ট হলেন সরকার প্রধান এবং সেকেন্ড ইন কমান্ড।

যদি সেকেন্ড ইন কমান্ড অর্থাৎ প্রেসিডেন্টের আকস্মিক মৃত্যু হয় তাহলে ভাইস প্রেসিডেন্ট ক্ষমতা গ্রহণ করবেন এবং ৫০ দিনের মধ্যে তিনি নতুন নির্বাচন আয়োজন করবেন। যেটির মাধ্যমে দেশে আবার নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত করা হবে।

রাইসির মৃত্যুর শঙ্কা প্রকাশ করে নাম গোপন রাখার শর্তে ওই ইরানি কর্মকর্তা বলেছেন, “হেলিকপ্টার বিধ্বস্তের পর প্রেসিডেন্ট ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর জীবন ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। আমরা এখনো আশাবাদী। তবে দুর্ঘটনাস্থল থেকে যে তথ্য আসছে সেগুলো খুবই চিন্তার।”

ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে উদ্ধারকারী দল

ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম ইরনা নিউজ জানিয়েছে, যেখানে হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হয়েছে সেখানকার আবহাওয়া বেশ বিরূপ এবং কুয়াশাচ্ছন্ন। যা উদ্ধার অভিযানকে ব্যাহত করছে।

দেশটির সরকারি টেলিভিশনে প্রকাশিত একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, যেখানে দুর্ঘটনা ঘটেছে সেখানে উদ্ধারকারীরা পৌঁছেছে। তবে ওই অঞ্চল পুরোটি কুয়াশায় আচ্ছন্ন হয়ে আছে।

সরকারি টিভিতে আরও দেখানো হয়েছে, প্রেসিডেন্ট রাইসির জন্য পুরো দেশজুড়ে দোয়া করা হচ্ছে।

৬৩ বছর বয়সী রাইসি ২০২১ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। 

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরাকে কাতার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর মাহজুব জাওয়ারি বলেছেন, ইরানের রাজনীতিতে খুবই প্রভাবশালী রাইসিকে দেশটির পরবর্তী সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা হিসেবে দেখা হয়।

সূত্র: আলজাজিরা, রয়টার্স

এমটিআই