এবার মঙ্গলে ইতিহাস গড়ার যাত্রায় ভারত
চন্দ্রাভিযানে ইতিহাস গড়ার পর এবার মঙ্গল যাত্রায় মন দিয়েছে ভারতের মহাকাশ বিজ্ঞানীরা। পরবর্তী মিশন মঙ্গল যাত্রার জন্য তৈরি হচ্ছে ইসরো। আর এতেই লাল গ্রহে অবতরণকারী তৃতীয় দেশ হতে চলেছে ভারত।
ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম জানিয়েছে, মঙ্গলযানের প্রথম অভিযান আগে থেকেই ঠিক করা হয়। তবে এবার দ্বিতীয় অভিযান প্রথমের থেকে অনেকটাই আলাদা হবে বলেই মনে করা হচ্ছে। ভারতের মহাকাশ গবেষণাকারী সংস্থা ইসরো এবার অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সাহায্য নেবে।
বিজ্ঞাপন
সম্প্রতি ন্যাশনাল টেকনোলজি ডে-র দিন এই বিষয়ে একটি প্রোজেক্ট প্রেজেন্টেশন করে ইসরো। সেখানেই প্রকাশ পেয়েছে পরিকল্পনাটি।
কী কী ব্যবস্থা করবে ইসরো?
জানা গেছে, মঙ্গলযানের জন্য স্কাই ক্রেন, সুপারসনিক প্যারাসুট, হেলিকপ্টার ও রোভারের ব্যবস্থা করবে ইসরো।
উল্লেখ্য, এর আগে মঙ্গলে অবতরণ করতে এই পদ্ধতি বা প্রযুক্তির অবলম্বন করেছিল আমেরিকা ও চীন। এবার আমেরিকা ও চীনের মতোই প্রযুক্তি ব্যবহার করবে ভারত।
আমেরিকান মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার পক্ষ পার্সিভারেন্স রোভার পাঠানো হয় মঙ্গলে। চাঁদে অবতরণের সময় এই রোভারে হেলিকপ্টার, প্যারাসুট ও স্কাই ক্রেনের ব্যবস্থা ছিল। এবার মঙ্গলে অবতরণের ক্ষেত্রেও তেমনটাই করা হবে বলে জানিয়েছে ইসরো।
কী কী প্রযুক্তি থাকছে?
স্কাই ক্রেন : নাসার স্কাই ক্রেন, মঙ্গল গ্রহে রোভারটিকে নামতে সাহায্য করে। এটি রোভারকে সোজা অবস্থায় নামতে সাহায্য করে। উপর থেকে নামার সময় রোভারের মাথার দিকটা নিচের দিকে চলে যেতে পারে বা উল্টে যেতে পারে। তবে স্কাই ক্রেন থাকলে তার সম্ভাবনা নেই। স্কাই ক্রেন দ্রুত কাজ শুরু করতেও সাহায্য করে। স্কাই ক্রেনের কারণেই মঙ্গলের মাটি সমতল না হওয়াতেও কোনও চাপ হয়না রোভারের।
হেলিকপ্টার : মঙ্গলের পাতলা বাতাসে খুব সহজেই ঠিকমতো উড়তে পারবে এমন একটি হেলিকপ্টার তৈরি করছে ইসরো। সংস্থা জানিয়েছে যে এই হেলিকপ্টার মঙ্গল গ্রহের আবহাওয়া নিরীক্ষণ করবে এবং এই লাল গ্রহের আবহাওয়ার একটি ম্যাপিং অর্থাৎ নকশাও গড়ে রাখবে।
স্যাটেলাইট : স্কাই ক্রেন এবং হেলিকপ্টার ছাড়াও থাকছে স্যাটেলাইট। ইসরো জানিয়েছে যে এই স্যাটেলাইটের মাধ্যমে খবর সরাসরি এসে পৌঁছাবে ইসরোর কেন্দ্রে।
এমএসএ