সাত মাস ধরে গাজায় ধ্বংসযজ্ঞ চালাচ্ছে ইসরায়েলি সেনারা।

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার শেষ নিরাপদস্থান রাফাতে আরও সেনা পাঠানোর ঘোষণা দিয়েছে দখলদার ইসরায়েল। ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োহাভ গ্যালান্ট বৃহস্পতিবার (১৬ মে) এ ব্যাপারে একটি বিবৃতি দিয়েছেন।

এতে তিনি বলেছেন, “রাফাতে আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে এবং সেখানে আরও সেনা প্রবেশ করবে। রাফাতে বেশ কয়েকটি সুড়ঙ্গ ধ্বংস করা হয়েছে। সামনে আরও সড়ঙ্গ ধ্বংস করা হবে।”

ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী আরও বলেছেন, “আমাদের অভিযানের তীব্রতা বাড়বে। হামাস এমন কোনো সংগঠন নয় যেটি পুনর্গঠিত হতে পারবে। তাদের কোনো রিজার্ভ সেনা নেই। তাদের অস্ত্র তৈরির সক্ষমতা নেই। অস্ত্র সরবরাহের ব্যবস্থা নেই এবং যারা (হামাসের যোদ্ধা) আমাদের হামলার শিকার হচ্ছে তাদের চিকিৎসা দেওয়ার সক্ষমতা নেই। যার ফলাফল হলো আমরা তাদের ক্লান্ত করে ছাড়ব।”

দখলদার ইসরায়েলের সেনারা এখন মূলত হামলা চালাচ্ছে গাজার জাবালিয়ার শরণার্থী শিবিরে।

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা জানিয়েছে, জাবালিয়ায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় বেশ কয়েকজন বেসামরিক মানুষ আহত ও নিহত হয়েছেন।

সেখানে প্রবেশ করা ইসরায়েলি বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই করা হচ্ছে বলে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে হামাস। সশস্ত্র সংগঠনটি বলেছে, আজ বৃহস্পতিবার তিনটি ইসরায়েলি ট্যাংকে হামলা চালিয়েছে তাদের যোদ্ধারা।

এছাড়া আরেক সশস্ত্র গোষ্ঠী ইসলামিক জিহাদের যোদ্ধাদের সঙ্গে সমন্বিতভাবে আরেকটি ট্যাংক ও সেনাদের ওপর হামলা চালানো হয়েছে বলে জানিয়েছে তারা। ওই হামলায় ইসরায়েলি সেনারা আহত ও নিহত হয়েছে বলে দাবি করেছে হামাস।

সূত্র: আলজাজিরা

এমটিআই