বিশ্বের ধনকুবেরদের অঢেল সম্পদের খোঁজ দুবাইয়ে
দুবাইয়ে অঢেল সম্পদ গড়ে তোলাদের তথ্য ফাঁস হয়েছে। ‘দুবাই আনলকড’ নামের একটি গবেষণা প্রতিবেদনে উঠে এসেছে সন্দেহভাজন অপরাধী, নিষেধাজ্ঞা প্রাপ্ত ব্যক্তি এবং দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিরা দুবাইয়ে নিরাপদভাবে কিভাবে সম্পদ কিনেছেন।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক অলাভজনক সংস্থা সেন্টার ফর অ্যাডভান্স ডিফেন্স স্টাডিস (সি৪এডিএস) প্রথম এই ফাঁসকৃত তথ্য পায়। এরপর এটি তারা নরওয়ের অর্থনীতি বিষয়ক সংবাদমাধ্যম ‘ই২৪’ এবং অর্গানাইজড ক্রাইম অ্যান্ড করাপশন রিপোর্টিং প্রজেক্ট (ওসিসিআরপি)-কে প্রদান করে। এরপর এই সংস্থাটির বিশ্বের ৭৪টি সংবাদমাধ্যমকে নিয়ে তদন্ত করে।
বিজ্ঞাপন
এতে দেখা গেছে, দুবাইয়ে সবচেয়ে বেশি সম্পদ রয়েছে ভারতীয়দের। সেখানে ৩৫ হাজার প্রপার্টির মালিক ২৯ হাজার ৭০০ ভারতীয়। এই তালিকায় দ্বিতীয়স্থানে রয়েছে পাকিস্তানিরা। দেশটির ১৭ হাজার নাগরিকের দুবাইয়ে ২৩ হাজার বাড়ি রয়েছে।
ওসিসিআরপি জানিয়েছে, তাদের তদন্তে পাওয়া গেছে ২০২২ সালে দুবাইয়ে বিদেশিদের সম্পদের পরিমাণ ১৬০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যায়।
দুবাইয়ের প্রপার্টির বাজার কেন ফুলে ফেঁপে উঠছে?
গবেষণা প্রতিবেদন অনুযায়ী, দুবাইয়ে প্রপার্টির বাজার এত ফুলে ফেঁপে উঠার অন্যতম কারণ হলো— পশ্চিমা দেশগুলোতে সম্পত্তি কিনতে না পারা এবং নিরাপত্তা বাহিনীর কাছ থেকে পালিয়ে থাকা ব্যক্তিরা সহজেই এখানে প্রপার্টি কিনতে পারতেন।
মূলত অপরাধীদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর জন্য আরব আমিরাতের সঙ্গে অন্যান্য দেশের চুক্তি নেই। আর এ বিষয়টির কারণে অপরাধীরা নির্বিঘ্নে সেখানে সম্পদ গড়তে পেরেছেন। ২০২০ সাল থেকে ২০২২ সালের তথ্য এই গবেষণা প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
এছাড়া দুবাই যেভাবে দ্রুত পরিবর্তিত হয়ে যাচ্ছে সেটিও বড় প্রভাব রেখেছে বলে জানিয়েছে গবেষণা প্রতিবেদনটি। মূলত পরিবর্তনের কারণে অনেক মানুষ সেখানে বিনিয়োগ করছেন।
এই গবেষণা প্রতিবেদনে শুধুমাত্র তাদের তথ্যই উল্লেখ করা হয়েছে যারা গোপনে এবং দুর্নীতির মাধ্যমে সেখানে অঢেল সম্পদ গড়েছেন।
এমটিআই