ভারতে চলমান লোকসভা নির্বাচনের মধ্যে গত সোমবার উত্তরপ্রদেশে এক জনসভায় আবেগঘন ভাষণ দিচ্ছিলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। হঠাৎ সমাবেশ থেকে উড়ে আসে জনতার প্রশ্ন—কবে বিয়ে করছেন? 

রাহুল গান্ধী হাসিমুখে জবাব দেন, ‘আব জলদি হি করনি পড়েগি’।

তবে রাহুল গান্ধীর জন্য এই অভিজ্ঞতা নতুন নয়, তার প্রসঙ্গে আলোচনা উঠলে নানা সময় বলা হয় তিনি কবে  গাঁটছড়া বাঁধার পরিকল্পনা করছেন? এমনকি বিভিন্ন সময় রাজনীতিবিদরাও মজার ছলে অনেক কথা বলেছেন। 

এদিকে রায়বরেলির সেদিনের জনসভায় উপস্থিত ছিলেন রাহুল গান্ধীর বোন কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধী ভদ্রও। প্রিয়াঙ্কা গান্ধী ও রবার্ট ভদ্রকে বাইরে রেখে গত ৩ মে কংগ্রেস রাহুল গান্ধীকে রায়বরেলি থেকে প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করে। 

• রায়বেরিলি-গান্ধীর ঘাঁটি

সোনিয়া গান্ধী ১৯৯৯ সালে আমেঠিতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন এবং জিতেছিলেন। ২০০৪ সালে রাহুলের হাতে বাটন তুলে দেন তিনি। সোনিয়া গান্ধীর আগে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী তিনবার রায়বেরেলি জিতেছিলেন। এই আসনে ইন্দিরার স্বামী তথা কংগ্রেস নেতা ফিরোজ গান্ধী ১৯৫২ ও ১৯৫৭ সালে দুবার নির্বাচিত হয়েছিলেন।

রায়বরেলির মহারাজগঞ্জে এক আবেগঘন ভাষণে রাহুল গান্ধী বলেন, রায়বরেলির সঙ্গে আমাদের ১০০ বছরের সম্পর্ক। কিছুদিন আগে আমি যখন আমার মায়ের সঙ্গে বসেছিলাম, তখন আমি তাকে বলেছিলাম, আমি একটি ভিডিওতে বলেছিলাম যে আমার দুজন মা আছেন- সোনিয়াজি এবং ইন্দিরাজি। আমার মা এটা পছন্দ করতেন না, কিন্তু আমি তাকে বুঝিয়ে বললাম, মা হলেন সেই যিনি সন্তানকে পথ দেখান এবং তাকে রক্ষা করেন। আমার মা এবং ইন্দিরা জি দুজনেই আমার জন্য এটি করেছিলেন। এটা আমার দুই মায়ের কর্মভূমি। এই কারণেই আমি রায়বরেলি থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে এসেছি।

কৃষকদের কাছে পৌঁছে কংগ্রেস সাংসদ বলেন, আমি প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি, কেন্দ্রে কংগ্রেস-ভারত জোট ক্ষমতায় এলে আমার প্রথম কাজ হবে গরিব কৃষকদের ঋণ মওকুফ করা।

রায়বরেলিতে কংগ্রেস দলত্যাগী তথা তিনবারের বিজেপি বিধায়ক দীনেশ প্রতাপ সিংয়ের মুখোমুখি হবেন তিনি।

আগামী ২০ মে পঞ্চম দফায় ভোটগ্রহণ হবে রায়বেরিলি আসনে। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গান্ধী এই কেন্দ্রে ৫ লাখ ৩৪ হাজার ৯১৮ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছিলেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী দীনেশ প্রতাপ সিং ৩ লাখ ৬৭ হাজার ৭৪০ ভোট পান।

এমএসএ