জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে ফিলিস্তিনের বিরুদ্ধে ভোট দেওয়ায় আর্জেন্টিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে দখলদার ইসরায়েল। ইসরায়েলি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ রোববার (১২ মে) আর্জেন্টিনা ছাড়াও হাঙ্গেরি ও চেক রিপাবলিকের প্রধানমন্ত্রীর নাম উল্লেখ করে তাদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন।

তিনি বলেছেন, “হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর অরবান, আজেন্টিনার প্রেসিডেন্ট জাভিয়ার মিলেই এবং চেক রিপাবলিকের প্রধানমন্ত্রী পিটার ফিয়ালাকে ধন্যবাদ ইতিহাসের সঠিক পাশে দাঁড়ানোর জন্য এবং জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে বিপক্ষে ভোট দেওয়ার জন্য।”

জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনের পক্ষে ভোট দিয়েছে ১৪৩টি দেশ। এরমধ্যে রয়েছে বাংলাদেশও।

শুক্রবার (১০ মে) নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে এই প্রস্তাবটি উত্থাপিত হয়। এতে বলা হয়, ‘স্বাধীন ফিলিস্তিনি গঠনের পক্ষে নিরাপত্তা পরিষদে আবারও ভোটাভুটি হোক। এতে আপনাদের সমর্থন আছে কিনা।’

এই প্রস্তাবে ভোট দেয় ১৪৩টি দেশ। বিপক্ষে ভোট দেয় ৯টি দেশ। আর ভোট দানে বিরত ছিল ২৫টি দেশ। প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেওয়া ১৪৩টি দেশ মূলত স্বাধীন ফিলিস্তিনের প্রতি নিজেদের সমর্থন ব্যক্ত করেছে।

গত সপ্তাহে নিরাপত্তা পরিষদে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠন এবং তাদের পূর্ণ সদস্যপদ দেওয়ার একটি প্রস্তাব উত্থাপিত হয়। কিন্তু শুধুমাত্র যুক্তরাষ্ট্রের ভেটোর কারণে প্রস্তাবটি গৃহীত হয়নি।

এরপর ফিলিস্তিনিকে স্বীকৃতি এবং পূর্ণ সদস্যপদ দিতে নিরাপত্তা পরিষদে আবারও ভোট আয়োজনের জন্য সাধারণ পরিষদে প্রস্তাব তোলা হয়। আর এই প্রস্তাবের পক্ষে জাতিসংঘের সদস্যভুক্ত চারভাগের তিন ভাগ দেশ ভোট দিয়েছে।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান জানিয়েছে, এই ভোটটি ফিলিস্তিনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ছিল। কারণ এটির মাধ্যমে তারা বেশ কিছু অধিকার পেয়েছে। ফিলিস্তিন এখন থেকে সাধারণ পরিষদে প্রস্তাব উত্থাপন বা এতে সমর্থন এবং সংশোধন করতে পারবে।

ফিলিস্তিনি প্রতিনিধি এখন থেকে সদস্য দেশগুলোর আসনে বসতে পারবেন এবং ফিলিস্তিন সক্রিয়ভাবে অধিবেশনে অংশ গ্রহণ করতে পারবে।

এছাড়া বিশ্বের বেশিরভাগ দেশ যে ফিলিস্তিনের পক্ষে রয়েছে সেটি এই ভোটের মাধ্যমে আবারও প্রকাশ পেয়েছে।

সূত্র: আলজাজিরা

এমটিআই