ইউক্রেনের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় রাশিয়ায় নিহত অন্তত ৭
ইউক্রেনের ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে রাশিয়ার বেলগোরোদ অঞ্চলের একটি আবাসিক ভবনের অন্তত ৭ বাসিন্দা নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও কমপক্ষে ১৭ রুশ নাগরিক। রোববার রাশিয়ার সরকারি কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, সোভিয়েত-আমলের তৈরি ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে রাশিয়ার বেলগোরোদ অঞ্চলের একটি আবাসিক ভবনে হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন। এতে কমপক্ষে ৭ রুশ নাগরিক নিহত ও ১৭ জন আহত হয়েছেন। হামলায় ভবনটির একটি ব্লক পুরোপুরি ধসে গেছে।
বিজ্ঞাপন
বেলগোরোদ অঞ্চলে ইউক্রেনের চালানো এই হামলাকে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে প্রাণঘাতী বলে অভিহিত করেছেন রাশিয়ার কর্মকর্তারা। তারা বলেছেন, তোচকা ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র, অ্যাডলার এবং আরএম-৭০ ভ্যাম্পায়ার (এমএলআরএস) রকেট ব্যবস্থার মাধ্যমে ভয়াবহ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা এটি।
ঘটনাস্থলের ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, হামলায় ভবনটির অন্তত ১০ তলা ধসে পড়ছে। পরে দেশটির জরুরি পরিষেবা সংস্থাগুলো জীবিতদের উদ্ধারে অভিযান শুরু করে। এতে দেখা যায়, ভবনটির ছাদ ধসে পড়ছে। প্রাণ বাঁচাতে লোকজন দৌড়ে পালিয়ে যাচ্ছেন। এ সময় ধুলো ও ধ্বংসস্তূপ ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়তে দেখা যায়।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় আবাসিক এলাকায় হামলার এই ঘটনাকে সন্ত্রাসী হামলা বলে অভিহিত করেছে। রোববারের এই হামলায় ইউক্রেন কমপক্ষে ১২টি ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেছে।
‘‘গুলি চালিয়ে ভূপাতিত করা তোচকা-ইউ ক্ষেপণাস্ত্রের একটি টুকরোর আঘাতে বেলগোরোড শহরের আবাসিক ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে,’’ মন্ত্রণালয় বলেছে।
রাশিয়ার একাধিক বার্তা সংস্থা বলেছে, ইউক্রেনের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় কমপক্ষে ৭ জন নিহত ও ১৭ জন আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে দুজন শিশুও রয়েছে। এছাড়া আরও অনেকে ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা রয়েছেন।
ইউক্রেন এবং রাশিয়া বেসামরিক লোকজনকে নিশানা করে না বলে দাবি করলেও উভয়পক্ষের যুদ্ধে অনেক বেসামরিক নিহত হয়েছেন।
রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা বলেছেন, বেসামরিক নাগরিকদের লক্ষ্যবস্তু বানিয়ে হামলা চালানো হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে ইউক্রেন ও তার সমর্থক—বিশেষ করে প্রাথমিকভাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং তার ইউরোপীয় মিত্রদের অপরাধ প্রবণতা দৃশ্যমান হয়েছে।
তবে হামলার বিষয়ে ইউক্রেনের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিকভাবে কোনও মন্তব্য করা হয়নি।
সূত্র: রয়টার্স।
এসএস