মধ্যপ্রাচ্যের মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় গত ৭ মাস ধরে বর্বরতা চালাচ্ছে দখলদার ইসরায়েল। তাদের বর্বরতার শিকার হচ্ছে পশ্চিমতীরের ফিলিস্তিনিরাও।

তবে নিরস্ত্র নিরীহ ফিলিস্তিনিদের ওপর ইহুদিবাদী ইসরায়েল নির্বিচারে হামলা চালালেও মধ্যপ্রাচ্যের মুসলিম দেশগুলো অনেকটা নির্বাক রয়েছে। ইসরায়েলি আগ্রাসন ঠেকাতে তাদের মধ্যে খুব বেশি তৎপরতা দেখা যাচ্ছে না।

তুরস্কের ইস্তাম্বুলের জাইম বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ইসলাম ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক কেন্দ্রের’ পরিচালক সামি আল-আরিয়ান সংবাদমাধ্যম আলজাজিরাকে বলেছেন, আরব দেশগুলো শুধু চুপ করে আছে তাই নয়। কিছু আরব দেশ ইসরায়েলের এসব অপরাধের সঙ্গে জড়িতও আছে। তিনি মন্তব্য করেছেন, মধ্যপ্রাচ্যের কিছু আরব দেশ পুরুষত্বহীন।

তিনি বলেছেন, “বলতে গেলে কিছু আরব দেশ এই অপরাধের সঙ্গে জড়িত। আর কিছু আরব দেশ পুরুষত্বহীন। কিন্তু আমাদের মনে রাখতে হবে তারা চাইলে অনেক বড় ভূমিকা রাখতে পারে। তাদের অনেক কিছু করার আছে। যুক্তরাষ্ট্রে এসব দেশের অনেক বড় বিনিয়োগ রয়েছে। এছাড়া এসব দেশে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক ঘাঁটি রয়েছে। আরব দেশগুলো ডলারে তেল বিক্রি করায় বিশ্বব্যাপী ডলার রিজার্ভ মুদ্রায় পরিণত হয়েছে।”

তিনি আরও বলেছেন, “আরব দেশগুলো চাইলে অনেক কিছু করতে পারে। তারা তাদের রাষ্ট্রদূতদের প্রত্যাহার করে নিয়ে আসতে পারে। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত আরব রাজনীতিবিদদের মধ্যে এ ধরনের কোনো ইচ্ছা নেই।”

বিশ্ববিদ্যালয়ের এই প্রফেসর আরবদের কর্মকাণ্ডকে ‘লজ্জাজনক’ হিসেব অভিহিত করেছেন।

তিনি জানিয়েছেন, দক্ষিণ আফ্রিকায় যখন বর্ণবৈষম্য চলছিল তখন বিশ্বের বিভিন্ন দেশ তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল, বাণিজ্য বন্ধ করে দিয়েছিল। এমনকি জাতিসংঘে তাদের সদস্যপদও রহিত করা হয়েছিল। চাইলে ইসরায়েলকেও এভাবে শাস্তি দেওয়া যায় বলে জানিয়েছেন তিনি।

সূত্র: আলজাজিরা

এমটিআই