সামান্য কথা কাটাকাটি থেকে মনোমালিন্য, অশান্তি। আর এরই জেরে রাগে বাড়ি ছেড়েছিল স্ত্রী। পরে একাধিকবার বোঝানোর পরও স্ত্রী আর বাড়ি ফেরেননি। তখন থেকেই মনে বাসা বেঁধেছিল সন্দেহ। শেষমেশ হোটেল রুমে হানা দিয়ে স্ত্রীকে হাতেনাতে ধরলেন চিকিৎসক স্বামী।

একজন নয়, দুইজন পুরুষের সঙ্গে হোটেলের বাথরুমে আপত্তিকর অবস্থায় স্ত্রীকে দেখতে পান স্বামী। স্ত্রীকে এমন অবস্থায় দেখে লজ্জায়, অপমানে নিজেকে ঠিক রাখতে পারেননি স্বামী। ওই দুই যুবকের সঙ্গে তার হাতাহাতি-মারামারি বেঁধে যায়।

পরে বিষয়টি গড়ায় থানা-পুলিশ পর্যন্ত। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের উত্তরপ্রদেশের কাসগঞ্জের একটি হোটেলে। ওই স্বামী-স্ত্রী দুজনই পেশায় চিকিৎসক।

শনিবার (১১ মে) পৃথক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস ও ফ্রি প্রেস জার্নাল।

সংবাদমাধ্যম বলছে, নানা ঘটনায় নিত্যদিনই বাড়িতে অশান্তি লেগে থাকত। একদিন হঠাৎ রাগে বাড়ি ছেড়ে দেন স্ত্রী। অনেক বোঝানোর পরও স্ত্রীকে বাড়ি ফেরাতে পারেননি চিকিৎসক স্বামী। তখন থেকেই স্বামীর মনে সন্দেহ দানা বাঁধে।

শেষমেশ হোটেল রুমে স্ত্রীকে এমন অবস্থায় দেখতে পাবেন তা কল্পনাও করতে পারেননি তিনি। একজন নয়, দুইজন পুরুষের সঙ্গে হোটেলের বাথরুমে আপত্তিকর অবস্থায় স্ত্রীকে দেখতে পান স্বামী। স্ত্রীকে এমন অবস্থায় দেখে লজ্জায়, অপমানে নিজেকে ঠিক রাখতে পারেননি স্বামী।

ওই দুই যুবকের সঙ্গে তার হাতাহাতি বেঁধে যায়। শেষে হোটেলের কর্মী ও পরিবারের সদস্যরা এসে তাদের আলাদা করেন। পুলিশ এসে পরিস্থিতি সামাল দেয়। সেই সময়ে হোটেলেরই কয়েকজন সমস্ত ঘটনা ক্যামেরাবন্দি করেন। যা ইতোমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে।

স্বামী-স্ত্রী দুজনেই পেশায় চিকিৎসক। পরিবার সূত্রের খবর, স্ত্রীর পরকীয়ার প্রবণতার জেরে দম্পতির মধ্যে অশান্তি লেগেই লাগত। প্রায় এক বছর ধরে তারা আলাদা থাকছিলেন। তবে বিবাহ-বিচ্ছেদ হয়নি।

পরে কোনোভাবে খবর পেয়ে ওই হোটেলে দুই আত্মীয়কে নিয়ে পৌঁছান ওই নারীর স্বামী। কিন্তু প্রাথমিকভাবে হোটেল কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে তাদের ঘরে ঢোকার অনুমতি দেওয়া হয়নি। এরপর জোর করে ঘরের দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করেন তারা। সেখানেই স্ত্রীকে দুই পুরুষের সঙ্গে হাতেনাতে ধরেন স্বামী।

ফ্রি প্রেস জার্নাল বলছে, তাদের তিনজনকেই একসঙ্গে হোটেলের বাথরুমে পাওয়া যায়।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, অভিযুক্ত ওই নারীও সরকারি হাসপাতালের ডাক্তার। চিকিৎসক স্বামীর অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ ওই নারীকে গ্রেপ্তার করেছে। এর পাশাপাশি দুই যুবককেও আটক করা হয়েছে। আটককৃতদের মধ্যে একজন গাজিয়াবাদ ও অন্যজন বুলন্দশহরের বাসিন্দা।

তবে ওই নারী তার স্বামীর বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ দায়ের করেননি।

অবশ্য ফ্রি প্রেস জার্নাল বলছে, ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর পর পুলিশের দলটি ওই নারীর স্বামী, নারীর উভয় প্রেমিক এবং স্বামীর দুই পুরুষ আত্মীয়সহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে। তবে এ ঘটনায় চিকিৎসকের স্ত্রী জড়িত থাকলেও তাকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেনি।

ঘটনার বিস্তারিত এবং এর অন্তর্নিহিত পরিস্থিতি উদঘাটনের জন্য পুলিশি তদন্ত চলছে বলেও জানানো হয়েছে।

টিএম