ভারতের উত্তরাখণ্ডের একের পর এক জঙ্গল আগুনে পুড়ছে। গরমের কারণে এর তীব্রতা আরও বেড়েছে। জঙ্গল ছাড়িয়ে আগুন কোথাও কোথাও লোকালয়েও ঢুকে পড়ছে।

দাবানলের কারণে উত্তরাখণ্ডে গত তিন দিনে মৃত্যু হয়েছে পাঁচ জনের। এ পরিস্থিতিতে ভয়াবহ এ অগ্নিকাণ্ড থেকে রেহাই পেতে বৃষ্টির অপেক্ষায় দিন গুনছে মানুষ।

জঙ্গলের আগুন নেভাতে বৃষ্টিই যে শেষ ভরসা  তা স্বীকার করেছেন সরকারি কর্মকর্তারাও। এ অবস্থায় আশার আলো দেখিয়েছে উত্তরাখণ্ডের আবহাওয়া অফিস। জানানো হয়েছে, মঙ্গলবার (৭ মে) থেকে উত্তরাখণ্ডে শুরু হতে পারে বৃষ্টি। আগামী ১১ মে থেকে বৃষ্টির তীব্রতা আরও বাড়বে।

ধারণা করা হচ্ছে, এই বৃষ্টি আগুনের হাত থেকে বাঁচাতে পারে জঙ্গলকে। আগুন নেভাতে পুরো রাজ্য বৃষ্টির অপেক্ষায় থাকলেও কোনো কারণে বৃষ্টি না হলে অন্য পথে কীভাবে আগুন নেভানো যায় সেই পথও খুঁজছে প্রশাসন।

দাবানলের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামী। আগুন নেভাতে অভিজ্ঞ কর্মীদের পাশাপাশি ব্যবহার করা হচ্ছে নৌ বাহিনীর এম-১৭ হেলিকপ্টারও।

এদিকে দাবানলের কারণে রোববার মৃত্যু হয়েছে আরও এক বৃদ্ধার। জানা গেছে, পূজা নামের ওই বৃদ্ধা ছিলেন নেপালি শ্রমিক। শনিবার আলমোড়া জেলায় তার খামার বাড়িতে আগুন লাগলে গবাদি পশু বাঁচাতে এগিয়ে যান তিনি। তাতে তার গায়ে আগুন লেগে যায়। দ্রুত তাকে এইমস হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই রোববার তার মৃত্যু হয়।

এর আগে এ জেলার একটি পাইন রজন কারখানায় আগুন লাগলে সেই আগুন নেভাতে গিয়ে মৃত্যু হয় তিন শ্রমিকের। সব মিলিয়ে দাবানলের কারণে এখন পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে পাঁচ জনের।

উত্তরাখণ্ড বন দপ্তরের পরিসংখ্যান বলছে, গত বছরের নভেম্বর থেকে এখন পর্যন্ত রাজ্যের ৯১০টি জঙ্গলে আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে। বেশির ভাগই মনুষ্যসৃষ্ট। এর ফলে বন দপ্তরের ১১৪৫ হেক্টর জমি নষ্ট হয়েছে।

এসএসএইচ